বাবরি মসজিদ ভাঙার মামলায় বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলীমনোহর জোশী, উমা ভারতীদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ বহাল রাখল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের রায় বহাল রেখে হাই কোর্ট জানিয়েছে, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের ওই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র বা পূর্ব পরিকল্পনায় জড়িতে ছিলেন না তাঁরা। আদবানিদের বেকসুর খালাসের নির্দেশের বিরুদ্ধে অযোধ্যার দুই মুসলিম বাসিন্দা যে আবেদন করেছিলেন বিচারপতি রমেশ সিং এবং বিচারপতি সরোজ যাদবের বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছে।
আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ফলে, তাঁরা তাঁদের ঐতিহাসিক উপাসনাস্থল হারিয়েছিলেন। নিজেদেরকে ওই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী এবং শিকার বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এবং দৃষ্কৃতীরা ব্যাপক লুঠপাট চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন তারা। এই আবেদনের বিরোধিতা করে সিবিআই বলেছিল, আবেদনকারীরা মূল মামলার অভিযোগকারী বা শিকার ছিল না। তাই তাদের সিবিআই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার এক্তিয়ার নেই।
গত ৩১ অক্টোবর এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। তবে আদালত সেদিন রায়দান করেনি। এদিন, উচ্চ আদালত সিবিআই আদালতের রায়ই বহাল রেখেছে। সিবিআই আদালত এর আগে অভিযুক্ত বিজেপি ও ভিএইচপি নেতাদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। আদালত সাফ জানিয়েছিল, মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। করসেবকরা নিজেদের ইচ্ছাতেই আচমকা ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল। এই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র আছে, তা বলার মতো কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। কোনও সংবাদপত্রের কাটিং বা ভিডিয়ো ক্লিপকে প্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য করেনি আদালত।