আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারির আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ফলে কম্বল বিতরণ কাণ্ডে ফের অস্বস্তিতে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি আসানসোলে একটি অনুষ্ঠানে কম্বল বিতরণের ব্যবস্থা করেন। আর এই অনুষ্ঠানেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। এরপরই এই ঘটনায় নাম জড়ায় চৈতালির।তবে এই ঘটনার থেকে বাঁচতে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ চৈতালির সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। ফলে অস্বস্তি বাড়ল চৈতালি সহ জিতেন্দ্র তিওয়ারির তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল ওই অনুষ্ঠান। রেলপারে একটি সভার পর কম্বল বিতরণ করা হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি চলে যাওয়ার পর কম্বল বিতরণ চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। আর সেই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুন সহ তিনটি ধারায় এফআইআর হয়। এখানেই এই ঘটনায় নাম জড়ায় চৈতালি তিওয়ারি সহ মোট ১০ জনের। এরপরই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে নোটিস দেওয়া হয়। পুলিশের এই নোটিসের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন চৈতালি। কিন্তু আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তদন্তে সহযোগিতা করতেই হবে চৈতালিকে। এরপরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেয় হাই কোর্ট।
এরপর আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর দুদিন পুলিশ চৈতালির বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদও করতে যায়। দীর্ঘ জেরায় চৈতালি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জিতেন্দ্র তিওয়ারি এই ঘটনাকে প্রথম থেকেই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, মৃত্যুকে সামনে রেখে নোংরা রাজনীতি করছে তৃণমূল।