নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ নাম জড়িয়েছে তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহারও। আর এখানেই প্রশ্ন উঠে গেল, এখনও পর্যন্ত কেন বিধায়ক তাপস সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি তা নিয়েই। প্রশ্ন উঠছে, কেন তাঁকে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকরিকেরা। কারণ, সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তাপস সাহার বিরুদ্ধে। এদিকে তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার ভাবমূর্তি যে খুব একটা স্বচ্ছ তাও নয়। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৫ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। এই অভিযোগে দায়ের হয় মামলা। মামলাকারীর তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়, বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় এসিবি।
ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য জেলবন্দি। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রাজ্যকে। এরপরই বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, হলফনামা দিয়ে এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে রাজ্যকে। এই মামলার কেস ডায়েরিও তলব করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ এপ্রিল, এমনটাই আদালত সূত্রে খবর। ফলে ততদিন পর্যন্ত তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখা।
প্রসঙ্গত, তাপস সাহা সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল অভিযুক্ত তাপস সাহাকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীর দাবি, নির্দিষ্ট সময়ে চার্জশিট না পেশ হওয়ায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান ধৃত তিন ব্যক্তি। বিচারপতির মন্তব্য, তাপস সাহাকে গ্রেপ্তারির বিষয়টা বাদ দিলে এখনও পর্যন্ত পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আদালতের তরফ থেকে কোন প্রশ্ন নেই। তাপস সাহার ঘটনায় তদন্তভাবর এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার কথাও জানায়নি আদালত।