নিয়োগ দুর্নীতিতে আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনায় হইচই পড়ে গেল রাজ্য রাজনীতিতে। অভিযোগ গ্রুপ সি চাকরিতে সাংসদ অপরূপা পোদ্দার নাকি যাদের নাম সুপারিশ করেছিলেন তাদের নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়া হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেয়। আগামী ২৬ এপ্রিল এই মামলার শুনানি হবার সম্ভবনা আছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার রয়েছেন। এই মর্মে সাংসদের সুপারিশ পত্র বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করেন। সেই একই চিঠি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
এতে মানহানি হয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি শ্রীরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী এবং তরুণজ্যোতি তিওয়ারিকে নোটিস পাঠান অপরূপা পোদ্দার। তাদের নামে কোর্টে মামলা করার জন্য মোবাইলে জুতো দেখিয়ে হুমকি দেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এবার দেখা গেল, তার নামেই মামলা করার অনুমতি দিল আদালত। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ানোর ঘটনা, কতটা সত্য তা আদালতই বিচার হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, এই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, মামলা তো অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। নারদাতেও ওনাকে দেখেছি। গ্রুপ সি নামের যে লিস্ট তার সুপারিশপত্র তো আমাদের বিরোধী দল নেতা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন। তদন্ত হওয়া উচিত। কোর্টে বিচার হওয়া প্রয়োজন। দোষী হলে শাস্তি হবে। অন্যদিকে, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান জয়দেব জানা সাংসদ অপরূপার পোদ্দারের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি প্রসঙ্গে বলেন, কোর্ট তো কোর্টের মতো করে চলবে। আইন আইনের মতো করে চলবে। পঞ্চায়েত ভোটে এর কিছু প্রভাব পড়বে না। কোর্ট সিবিআইকে নিয়ে বাচ্চা ছেলের মতো খেলছে। এখন পর্যন্ত কোর্ট সিবিআইকে যতগুলো তদন্ত দিয়েছে তার একটাও সমাধান করতে পারেনি। এই ক্ষেত্রেও তাই হবে।
সবমিলিয়ে গ্রুপ সি পদে সাংসদ অপরূপা পোদ্দার যাদের নাম সুপারিশ করেছিলেন তাদের নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়া হয় বলে অনেক আগেই বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল। এবার কোর্ট মামলা করার অনুমতি দেওয়ায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে।