মহিলা চালকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চালু হেল্প লাইন নম্বর

মহিলা ক্যাব চালকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সর্বক্ষণের জন্য একটি হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হল স্টেট অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের তরফ থেকে। এরই পাশাপাশি সর্বক্ষণ নজরদারি চালাতে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করা হয়েছে। যেখানে কোনওরকম সমস্যার সম্মুখীন হলে লাইভ লোকেশান পাঠানো যাবে। শুধু তাই নয়, গিল্ডের তরফ থেকে সমস্ত মহিলা চালকদের নিয়ে একটি সচেতনা শিবিরেরও আয়োজন করা হবে। যেখানেতাঁদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা হবে। মহিলা চালকদের জন্য যে হেল্পলাইন নম্বরটি চালু করা হয়েছে, সেটি হল ৮৯১০০৭৯২১২। আর যে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি চালু করা হয়েছে সেটি হল ৯৮০৪৪৫৮০৪৫।

গিল্ডের তরফ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কারণ, গত মঙ্গলবার এক মহিলা ক্যাব চালককে এক মাঝবয়সী ব্যক্তি হোটলের ঘরে ডাকার পাশাপাশি শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে। বিষয়টি গিল্ডকে জানানোর পর, ওই ব্যক্তিকে থানায় টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই এই পদক্ষেপ করা হয় গিল্ডের পক্ষ থেকে।

নয়া এই পদক্ষেপ সম্পর্কে স্টেট অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রতিদিনই অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সময় ব্যয় করতে হয় চালকদের। আর মহিলাদের কাছে এটা আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে যখন কেউ কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে উদ্দেশ্য নিয়ে রাইড চান। এ ব্যাপারে মঙ্গলবারের ঘটনাটি তাঁদের চোখ খুলে দিয়েছে বলেও দাবি করা হয় সংগঠনের তরফ থেকে। আর সেই কারণেই সংগঠনের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এবার থেকে মহিলা চালকদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে আরও সজাগ থাকা হবে।

সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, হেল্পলাইন এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ছাড়াও, মহিলা ক্যাব চালকদের কাছে একটি নির্দেশিকাও পাঠান হচ্ছে, যাতে তাঁরা বাইরে থাকাকালীন নিজেদের লাইভ লোকেশান শেয়ার করেন। কারণ সেই সময় তাঁরা বিপদে পড়লে যাতে দ্রুত তাঁদের সাহায্য করা যেতে পারে।
সংগঠনের তরফ থেকে এও জানানো হয়, বর্তমানে শহরে প্রায় ২৩ হাজার ক্য়াব চালক রয়েছেন। তার মধ্যে ২০ জন মহিলা। অর্থাৎ সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে মহিলা ক্যাব চালকের সংখ্যা ০.১ শতাংশর কাছাকাছি। এদিকে পরিবহণ দফতরের নির্দেশিকা অনুসারে বেশিরভাগ ক্যাবে প্যানিক বোতাম ইনস্টল করা হয়েছে, যেটি যাত্রীদের পাশাপাশি চালকরাও প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন।

এই প্রসঙ্গে গিল্ডের তরফ থেকে এও জানানো হয়, ‘মহিলারা সবেমাত্র এই পেশায় আসতে শুরু করেছেন। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনা, তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এতে অনেক সময়ই তাঁরা পেশা ছেড়ে দেন। আমরা চাই না এমনটা হোক, তাছাড়া আমরা আমাদের মহিলা সহকর্মীদের জন্য একটি সুরক্ষিত জায়গা তৈরি করতে চাই।’ একইসঙ্গে সংযোজন, ‘পুলিশ ও প্রশাসন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। কিন্তু যেহেতু এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে, তাই আমরা আমাদের মহিলা শাখাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি, যাতে তাঁরা আরও বেশি সংখ্যায় এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 15 =