মার্চ থেকেই সূর্য তার তেজ দেখাতে শুরু করেছে। কখনও বৃষ্টির জন্য দু-একদিন গরম কম থাকলেও, আকাশ পরিষ্কার হতেই রোদের তাপে গলদ ঘর্ম।বাচ্চারাও স্কুলে যাচ্ছে। এখনও রয়েছে এপ্রিল মাস। তারপর গরমের ছুটি।
স্বাভাবিকভাবেই এই সময় ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে জল খাওয়া জরুরি। এখন প্রশ্ন বড়দের তো দিনে অন্তত ২ লিটার জল খেতে বলা হয়। বাচ্চাদের কতটা খাওয়াতে হবে। কীভাবে খাওয়াতে হবে?
সাধারণত একদম ছোট বাচ্চাদের মায়ের দুধ থেকেই শরীরে জলের অভাব পূরণ হয়। বাচ্চা একটু বড় হয়ে সলিড খাবার খেতে শিখলে জলের দরকার পড়ে। এক্ষেত্রে কতটা জল বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে সেটা নির্ভর করে তার বয়েস, পরিবেশের ওপর।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমাদের দেশে ৪-৮ বছরের বাচ্চাদের দিনে ১.১ লিটার থেকে ১.৩ লিটার পর্যন্ত জল খাওয়া জরুরি। ৯-১৩ বছর বয়সের মেয়েদের দিনে ১.৩ থেকে ১.৫ লিটার পর্যন্ত জল প্রয়োজন। আবার ৯-১৩ বছর বয়সী ছেলেদের প্রয়োজন ১.৫ থেকে ১.৭ লিটার জল।
তবে জল মানে শুধু জল নয়। তরল খাবারের মাধ্যমেও শরীরে জলের চাহিদা মেটে। যেমন দুধ, ফলের রস, স্যুপ, ডাল। তবে বাচ্চারা একবারে জল খেতে পারে না অনেকটা। তাই তাদের বারে বারে নানারকমভাবে জল খাওয়াতে হবে।
ড্রিহাইডেশন রুখতে জল জরুরি।
জলের বোতল- বাচ্চা নিয়ে বাইরে বের হলে বা স্কুলে গেলে অবশ্যই জলের বোতল রাখুন।
লেবুর জল-স্কুল থেকে বা বাইরে থেকে ফেরার পর পাতি লেবু নুন ও চিনি দিয়ে জল দিন। বাচ্চারা এমনি জল খেতে না চাইলেও রকমারি শরবত করে দিলে খেয়ে নেবে।
গ্লুকোজের জল-গরমের খেলাধুলো করে ফিরলে বা ঘেমে ক্লান্ত হয়ে ফিরলে গ্লুকোজের জল দিন।
ফলের রস- নানারকম ফলের রস রাখুন বাচ্চার খাবারের তালিকায়। অনেক সময় বাচ্চারা খেতে চায় না। ফলের রস নুন, চিনি মিশিয়ে বরফের ট্রে তে জমিয়ে সেটাও খাওয়াতে পারেন। আইসক্রিম ভেবে খেয়ে নেবে।
এছাড়া বিভিন্ন স্যুপ, ডাল, চিকেন বা ভেজিটেবল স্টু রাখুন খাবারের তালিকায়। এতে বাচ্চা সরাসরি জল না খেলেও শরীরে জলের চাহিদা মিটবে।