গ্যাস হামলার প্রতিবাদে শুক্রবারও উত্তপ্ত সংসদ। একযোগে অধিবেশন কক্ষের বাইরে এবং ভিতরে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা। যার জেরে দফায় দফায় মুলতুবি করে দিতে হল অধিবেশন। একাধিকবার চেষ্টার পরও অধিবেশনের কাজ চালানো সম্ভব না হওয়ায় শেষে গোটা দিনের মতো লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন মূলতুবি করে দেওয়া হয়।
সংসদের ভবনের সামনেও শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদেরা। সেখানে হাজির ছিলেন বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড হওয়া সাংসদেরাও। বিরোধীদের দাবি, বুধবারের তাণ্ডব নিয়ে শীতকালীন অধিবেশনে বিবৃতি দিতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংসদের বর্তমান শীতকালীন অধিবেশন চলার কথা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে ১৫ বিরোধী সাংসদের সাসপেনশনের জেরে অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতেও অশান্তির সম্ভাবনা থাকছে।
বুধবার তিন স্তরের সুরক্ষা বলয় টপকে কী ভাবে চার বিক্ষোভকারী গ্যাস-ক্যানিস্টার নিয়ে ভবনের সংরক্ষিত এলাকায় পৌঁছে গেলেন, এমনকী তাঁদের মধ্যে দু’জন লোকসভার অধিবেশনে ঢুকে দর্শক আসন থেকে ফ্লোরে ঝাঁপ মারার সুযোগ পেলেন, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সরব হন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদেরা। শাহের বিবৃতি দাবি করে সংসদের দু’কক্ষেই ওয়েলে নেমে স্লোগান তোলেন বিরোধী সাংসদেরা। পাল্টা স্লোগান ওঠে বিজেপির বেঞ্চ থেকেও। অশান্তির জেরে প্রথমে বেলা ১২টা, তার পরে ২টো, শেষে সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি হয় লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন।