অস্ত্রোপচারেও লাভ হল না, বিশ্বকাপের স্বপ্নে ইতি সাদিও মানের

অবশেষে আশঙ্কাই সত্যিতে পরিণত হল। সেনেগাল তাদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করার ঠিক ১৩ দিন আগে চোট পেয়েছিলেন দলের তারকা ফরোয়ার্ড সাদিও মানে। ওয়ের্ডার ব্রেমেনের বিরুদ্ধে ম্যাচে ডান হাঁটুতে চোট লাগে বায়ার্ন মিউনিখ তারকা সাদিও মানের। খেলা শুরুর ২০ মিনিটের মাথায় চোট পান। তখনই তিনি আন্দাজ করতে পেরেছিলেন বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। বিশ্বকাপের আগে মানের মতো ফুটবলারের চোট বেশ চাপ সৃষ্টি করেছিল সেনেগাল শিবিরে। ফুটবল মহল মনে করেছিল, এই চোটের কারণেই মানের এ বারের বিশ্বকাপে খেলা হবে না। তাও তাঁকে দলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেনেগাল কোচ অ্যালিউ সিসে। তবে মানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না ঘটায় বিশ্বকাপের দৌড় থেকে বাদ পড়লেন সেনেগাল তারকা।
দিন কয়েক আগেই মানেকে নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। চোটের কারণে তাঁকে দলে রাখাটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল।

তবে আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে তাঁকে ঘিরেই স্বপ্নের জাল বুনেছিল সেনেগাল। কোচ অ্যালিউ সিসেও যে কারণে মানেকে রেখেই ২৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন। আসলে মানের মতো লড়াকু ফুটবলার দলে থাকার অর্থটা সকলের জানা। তিনি থাকলে সতীর্থদের মনোবল বাড়ে। ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক লড়াই করে উঠে এসেছেন সেনেগালের এই তারকা। মাঠের লড়াইয়েও তাঁকে হারানো মুশকিল। সেনেগালকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছেন মানে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবে মানেকে ছাড়া বিশ্বকাপের কথা ভাবতে পারেনি সেনেগাল টিম ম্যানেজমেন্ট। কোচ সিসে ভেবেছিলেন গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারলেই হয়তো সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। তবে মানের চোট স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিল প্রথম ম্যাচে খেলার পরিস্থিতি নেই তাঁর।

মাঝে কেটে গেছে বেশ কয়েক দিন। তাও তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্মতি না ঘটায়, বিশ্বকাপের দৌড় থেকে বাদ পড়ে গেলেন সেনেগাল তারকা সাদিও মানে। তাঁকে ছাড়াই এ বারের বিশ্বকাপে খেলতে হবে সেনেগালকে। কাতার বিশ্বকাপের জন্য সিসের ঘোষিত দলে জায়গা পেয়েছেন এডওয়ার্ড মেন্ডি, আলফ্রেড গোমিস, ইসমাইল গোমিসরা। তবে মানেকে ছাড়া বিশ্বকাপের ময়দানের লড়াইটা ঠিক কতটা কঠিন হতে চলেছে, সেটাই চিন্তায় ফেলছে সেনেগাল শিবিরকে। কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ- এ -তে রয়েছে সেনেগাল। ২১ নভেম্বর সেনেগালের প্রথম ম্যাচ রয়েছে। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =