চার হাসপাতালে রেফার করার ঘটনায় যুবকের মৃত্যুতে রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য দপ্তরের

দুর্ঘটনার পর চার চারটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ২৬ বছরের যুবক মেঘনাদ চন্দ্রর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতে এই চার হাসপাতালের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্য দপ্তর।  কারণ, এই চার হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া তো দূর-অস্ত সামান্য চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থাও করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে মৃতের পরিবারের তরফে। এতেই স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিকাঠামো নিয়ে উঠে গেছে এক বড় প্রশ্ন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এই চার হাসপাতাল হল এম আর বাঙুর, এস‌এসকেএম, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও এন‌আর‌এস। কারণ, প্রথম তিনটি হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছিল ওই রোগীকে। এরপর মেঘনাদের মৃত্যু হয় এনআরএস বা নীলরতন সরকার হাসপাতালে। এরপরই স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, ওই সব হাসপাতালের এমার্জেন্সি টিকিটে কাদের স‌ই রয়েছে বা কারা রেফার করেছেন তাঁদের সম্পর্কে। পাশাপাশি এও জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন রেফার করা হয়েছে সে ব্যাপারেও। প্রথম তিন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কেন বুঝতে পারলেন না মেঘনাদের কী হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে ডিউটিতে থাকা চিকিৎসকদের কাছ থেকে। এদিকে সূত্রে খবর, এই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এনআরএসে।

প্রসঙ্গত, এই দুর্ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার সকালে। টলিগঞ্জের বাসিন্দা মেঘনাদ চন্দ্র বাইক থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পান সোমবার সন্ধ্যায়। যন্ত্রণা বাড়লে তাঁকে প্রথমে এর বাঙুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এসএসকেএম, তারপর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, তারপর এনআরএসে নিয়ে যাওয়া হয়। ভোর তখন ৫ টা ৪০। এমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হলে প্রথমে অস্থিবিভাগে দেখানো হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন হাড়ের কোনও সমস্যা নেই। জেনারেল সার্জারি বিভাগে পাঠানো হয় তাঁকে। সাড়ে ৬ টা এমার্জেন্সির সামনে ট্রলির ওপর শোয়ানো ছিল মেঘনাদকে। জেনারেল সার্জারি বিভাগে তখন কোনও চিকিৎসক-ই ছিলেন না। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে  মেঘনাদের। এরপরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 4 =