শান্তনু-কুন্তলকে চেনেন না, ওঁরাও চেনেন না তাঁকে, দাবি মানিকের

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তিনি রয়েছেন বিচার বিভাগীয় হেপাজতে। অন্য দিকে, তদন্ত সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার হয়েছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মানিকের সঙ্গে তাদের যোগ কোথায়, এ প্রশ্নের উত্তরে কুন্তল-শান্তনুকে চেনেন না বলেই দাবি করলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক। বিচারবিভাগীয় হেপাজতে রয়েছেন  মানিক । বৃহস্পতিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী অফিসাররা। আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তিনি কি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়দের চেনেন?

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, তিনি ওঁদের চেনেন না। ওঁরাও তাঁকে চেনেন না। এরপর সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ওঁরা যে বলছে টাকা দিয়েছে? সেই প্রশ্নের জবাব অবশ্য তিনি দেননি। আদালতে সওয়াল জবাবের পর পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত জেল হেপাজতে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক ও নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।পরবর্তী কালে এই মামলার সূত্রেই গ্রেপ্তার হন মানিকের স্ত্রী এবং পুত্রও। ইডির দাবি, ২০১২ সাল থেকে অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতির রমরমা অবস্থার শুরু থেকে অন্তত ২০বার বিদেশ সফরে গিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের পরিবার। বিদেশ সফরের তালিকায় ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, নাইজেরিয়া, মালদ্বীপ, ভিয়েতনামের মতো একাধিক দেশ রয়েছে। প্রতিটি সফরে খরচ হয়েছে অন্তত ৪০-৫০ লক্ষ টাকা। নিয়োগ দুর্নীতির টাকাতেই কি বিদেশ সফর, তদন্ত করে দেখছে ইডি।

এদিকে, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, দেশে, বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি আছে তা বাজেয়াপ্ত করার। তদন্তকারী সংস্থা ইডি মনে করছে, প্রাথমিকের চাকরি অবৈধ ভাবে বিক্রি করে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন মানিক। সূত্রের খবর, মানিকের বিদেশে সম্পত্তি আছে কি না তা জানতে ইডি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

এদিন আদালতে ঢোকার মুখে তিনি পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য কুন্তলদের চেনেন না বলে দাবি করলেও, ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছিল, তারকেশ্বরের ডিএলএড কলেজে ছাত্রভর্তি নিয়ে কুন্তলকে চাপ দিচ্ছিলেন মানিক। কলেজ বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিকের রাগ সামলাতে তাপস মণ্ডলকে আসরে নামিয়েছিলেন কুন্তল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 11 =