উপাচার্যকে সরানোর কারণ রাজ্যপালের আইনজীবীর থেকে জানতে চাইল হাইকোর্ট

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস সাধন চক্রবর্তীকে অপসারিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারই বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সাধন চক্রবর্তী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে। এরপরই কী কারণে উপাচার্যকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা রাজ্যপালের আইনজীবীর থেকে জানতে চায় আদালত। আদালত সূত্রে খবর, বুধবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। উপাচার্যকে সরানোর কারণ সম্পর্কিত তথ্য রাজ্যপালের আইনজীবী জেনে আসার পর এই মামলা শুনবেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
উল্লেখ্য, রাজভবন থেকে যে নির্দেশ ছিল, তাতে বলা হয়েছিল, ওই উপাচার্য ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। এই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত সাধন চক্রবর্তীর আইনজীবীর। তাঁর বক্তব্য, এমন শব্দবন্ধ একজন ব্যক্তির সম্মানে কলঙ্ক লেপে দিয়েছে। এরপরই রাজ্যপালের আইনজীবী এদিন আদালতে ওই মন্তব্য মুছে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেন। তবে কী কারণে উপাচার্য পদ থেকে সাধন চক্রবর্তীকে সরানো হল, সেই বিষয়টি রাজ্যপালের আইনজীবীর থেকে জানতে চায় আদালত। আর আদালতের নির্দেশ এই ব্যাপারে তা বিস্তারিত ভাবে শুনানিতে হাইকোর্টে জানাতে হবে রাজ্যপালের আইনজীবীকে।
উল্লেখ্য, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারও সেই আন্দোলনে সামিল হন। চলতে থাকা এই আন্দোলনের মাঝে পুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন উপাচার্য।
এসবের মধ্যেই শনিবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে যান রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সূত্রে খবর মিলছে, সেই সময়েই কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের এবং উপাচার্যকে আলোচনার জন্য ডাকেন তিনি। কিন্তু সেদিন আন্দোলনকারীরা গেলেও উপাচার্য যাননি। আর তারপর সেদিনই উপাচার্যকে অপসারণের কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে ই-মেল যায়। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সোমবারই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উপাচার্য পদ থেকে অপসারিত সাধনবাবু। এরপর এই ঘটনায় মামলা করার অনুমতিও দেয় আদালত। এরপর মঙ্গলবার ছিল এই সংক্রান্ত মামলার প্রথম শুনানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + four =