হুগলির শ্রীরামপুরের পর হাওড়া, রামনবমীর মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মিছিলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তিনি স্পষ্ট জানান, ২০০ লোকের বেশি শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। রাজ্য পুলিশকে মিছিল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিতে হবে। তবে না পারলে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারে রাজ্য।
রামনবমীর দিন মিছিল করা নিয়ে হাওড়া সিটি পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও অনুমতি না মেলায়, কলকাতা হাইকোর্ট-এর দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অঞ্জনি পুত্র সেনা নামে দুই সংগঠন। এরপর এই দুই সংগঠনের আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট জিটি রোড দিয়ে রামনবমীর শোভাযাত্রার অনুমতি দেয়। সোমবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশ, আগামী ১৭ এপ্রিল শিবপুর কাজিপাড়া থেকে ২০০ ভক্ত জিটি রোড দিয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত শোভাযাত্রা করতে পারবেন। সঙ্গে এর পাশাপাশি রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রামনবমীর শোভাযাত্রা প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে। পাশাপাশি আদালতের তরফ থেকে এও বলা হয়, ধর্মীয় বিশ্বাসে বাধা দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। সেই কারণে হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিলের রুট পরিবর্তনের ব্যাপারে রাজ্যের দাবি খারিজ করল উচ্চ আদালত।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন জানান, প্রতিটি মানুষের নিজের মত বা ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী অনুষ্ঠান করার অধিকার রয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাদের সেই কাজে বাধা দেওয়া যায় না। সেই কারণে রাজ্যের দাবি মেনে এই শোভাযাত্রায় লোক কমানোর বা রুট পরিবর্তন করার যুক্তি নেই বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, মাত্র ২০০ লোকের শোভাযাত্রা যদি পুলিশ সামাল দিতে না পারে, তাহলে কিছু বলার নেই। বিচারপতি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভিড় সামাল দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।’ হাওড়ায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাম নবমীর শোভা যাত্রা নিয়ে রাজ্যের আপত্তিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তেরর বক্তব্য, ‘রাজ্যের দাবি অনুযায়ী গত বছর এই শোভা যাত্রা ১০ থেকে ১২ হাজার লোক ছিল। একইসঙ্গে সেখানে মারাত্মক গোলমাল হওয়ায় এনআইএ তদন্ত চলছে। কিন্তু এবার তারাই ২০০ লোক নিয়ে শোভা যাত্রার আয়োজন করেছে। তাই এখানে আর রুট বদল বা লোক কমানোর মতো শর্ত দিতে নারাজ হাইকোর্ট।’