সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হলটা কী! এই প্রশ্ন টিম ম্যানেজমেন্টকও হয়তো শুনতে হচ্ছে। গত মরসুমে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে চমকে দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ফাইনালে পৌঁছলেও ট্রফিটা আসেনি। এ মরসুমেও শুরুটা হয়েছিল ধামাকায়। এরপর থেকে একের পর এক ধাক্কা। টানা চার ম্যাচে হার! এর মধ্যে ঘরের মাঠেই জোড়া হার! গত মরসুমের সঙ্গে তুলনায় আনলে অবাক হওয়ার মতোই বিষয়। এ দিন গুজরাট টাইটান্স ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারাল সানরাইজার্সকে। তাও আবার ২০ বল বাকি থাকতেই।
গুজরাট টাইটান্সের মরসুম শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। এরপর দুরন্ত কামব্যাক করেছে শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন টাইটান্স। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মতো টিমকে হারিয়েছে। আর গত দুই ম্যাচেই বোলিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন নিজের শহরেও। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন শুভমন গিল। আর ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন বোলাররা। বিশেষ করে মহম্মদ সিরাজ। নিজের শহরে ম্যাচ। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট। সানরাইজার্সকে চাপে ফেলেন সিরাজই। টাইটান্সের টার্গেট দাঁড়ায় ১৫৩।
এ মরসুমে গুজরাট টাইটান্সের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার সাই সুদর্শন। ক্যাপ্টেন শুভমন গিলও অবদান রেখেছেন। গত ম্যাচে জস বাটলার দুর্দান্ত খেলেছিলেন। রান তাড়ায় ছন্দে থাকা সাইকে শুরুতেই হারায় টাইটান্স। সানরাইজার্সকে ব্রেক থ্রু দেন সামি। যদিও নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে তাঁর এক ধাক্কা যথেষ্ট ছিল না। ক্যাপ্টেন কামিন্স ফেরান বাটলারকে। শুভমনের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ক্যাপ্টেনের সঙ্গে সুন্দর একটা পার্টনারশিপ গড়েন। জয়ের খুব কাছে গিয়ে আউট সুন্দর। তাঁর হাফসেঞ্চুরিও মিস হয়। ২৯ বলে ৪৯ করেন।
ইমপ্যাক্ট পরিবর্ত হিসেবে নামা শেরফান রাদারফোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন টাইটান্স ক্যাপ্টেন শুভমন গিল। রাদারফোর্ড ১৬ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে শুভমন গিলও অপরাজিত ৪৩ বলে ৬১ রানে। ১৬.৪ ওভারেই লক্ষ্যপূরণ টাইটান্সের। জয়ের হ্যাটট্রিকও করে ফেললেন শুভমনরা।