হারের হ্যাটট্রিক, এ বারের আইএসএলে দশম; প্রত্যাবর্তন হল না ইস্টবেঙ্গলের

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এ বারের মরসুমের শুরুটা যে ভাবে হয়েছিল, পরিস্থিতি যেন তেমনই। দলে একাধিক চোট আঘাত সমস্যা বাড়িয়েছে। সঙ্গে কার্ড সমস্যাও। মরসুমের শুরুতে টানা ছয় ম্যাচে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। অস্কার ব্রুজো দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ায়। উদ্বোধনী এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের নকআউটেও জায়গা করে নিয়েছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগেও ভালো পারফর্ম করছিল। কিন্তু চোট আঘাতে ছন্দপতন। গোয়ায় অ্যাওয়ে ম্যাচেও হার। টানা তিন এবং এ বারের আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের এটি দশম হার।

কার্ড সমস্যায় ছিলেন না সৌভিক চক্রবর্তী। চোটের জন্য় ছিলেন না হেক্টর ইউস্তে এবং সাউল ক্রেসপো। ডিফেন্সে পাওয়া যায়নি আনোয়ার আলি, মহম্মদ রাকিপকেও। ইস্টবেঙ্গলে সদ্য যোগ দেওয়া নতুন বিদেশি সেলিসকে শুরু থেকেই মাঠে নামান অস্কার ব্রুজো। ছিল দিমিত্রয়স ডায়মান্টাকোস। মিড ফিল্ডে পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা না থাকায় ভুগতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। শেষ মুহূর্তে গোয়ার আর্মান্দো সাদিকু লাল-কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও লাভ হয়নি ইস্টবেঙ্গলের।

গত দু-ম্যাচে হার এবং একঝাঁক চোট আঘাতে আত্মবিশ্বাসে এমনিই ঘাটতি ছিল। শুরুতে গোল পেয়ে গেলে হয়তো ইস্টবেঙ্গলের খেলার মান বাড়তেও পারত। হয় যদিও উল্টোটা। ম্যাচ শুরুর ১৩ মিনিটের মধ্যেই লিড নেয় এফসি গোয়া। শর্ট কর্নার নিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনী তথা এফসি গোয়ার অন্যতম ভরসা বোরহা ফার্নান্ডেজ। নিজেই বল ধরে ইস্টবেঙ্গল বক্সে ভাসানো ক্রস। এফসি গোয়ার তরুণ তুর্কি ব্রিসন ফার্নান্ডেজের হেডে গোল। জিতলে ১০-এ উঠতে পারত ইস্টবেঙ্গল। ১১ নম্বরেই রইল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − four =