রেল, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বিচার ব্যবস্থা-সহ নিয়ে মোট সাতটি মউ স্বাক্ষর হল ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে। মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর একটি যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করলেন দু’দেশের রাষ্ট্রনেতা।তবে তিস্তার (Teesta) জল আপাতত অধরাই রইল।
মঙ্গলবার দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Bangladehs PM Sheikh Hasina) বৈঠকে তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে কোনও আশ্বাস মেলেনি। পরিবর্তে অসমের কুশিয়ারা নদীর জল নিয়ে পাকাপাকি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ ক্ষেত্রে দুই দেশ একে অপরের হাত ধরে চলবে। এদিন হায়দরাবাদ হাউসে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর মোট ৭ টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রয়েছে রেল, সড়ক, বিদ্যুৎ-সহ আরও বেশ কয়েকটি চুক্তিও। বাংলাদেশকে আর্থিকভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত (India)।
মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউসে দু’জনের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন মোদি-হাসিনা। তিস্তা এবারের মতো অধরা থাকলেও হাসিনা আশাপ্রকাশ করে বলেন, ‘আগেও দু’দেশ পরস্পরের পাশে থেকে একাধিক সমস্যার সমাধান করেছে। আশা করছি, এবার তিস্তার মতো সমস্যা-সহ একাধিক বিষয় জট কাটবে বন্ধুত্বের জোরেই।’
শেখ হাসিনার আরও বক্তব্য, ভারত-বাংলাদেশের (India-Bangladesh) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অন্যান্য় দেশের কাছে রোল মডেল। সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে তাঁর এই সফরের পর। প্রতিবেশী দেশের প্রতি এতটা বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ((Narendra Modi) ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই বৈঠক যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়েছে।
এদিন প্রথমে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে নয়া দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শুরু হয়। তারপর দুই প্রধানমন্ত্রী একটি যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘বন্যা প্রশমনে আমরা আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা বাংলাদেশের সাথে বন্যা সংক্রান্ত রিয়েল-টাইম ডেটা শেয়ার করছি এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা করেছি। ক্ষতিকর শক্তিগুলির যৌথভাবে মোকাবেলা করাটা অপরিহার্য।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এশিয়ার মধ্যে ভারতই, বাংলাদেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার। এই অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত করার জন্য, আমরা শীঘ্রই একটি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ব্যাপক অংশীদারিত্ব চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করব।’