অবসর ঘোষণার করেছিলেন সবেমাত্র একদিন হয়েছে। তারই মধ্যে সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেললেন তামিম ইকবাল। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ার পরদিনই অবসর ঘোষণা করেন তামিম। তাঁর পরিবর্তে সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচের জন্য ক্যাপ্টেন বেছে নেওয়া হয় লিটন দাসকে। সাময়িকভাবে সামাল দিলেও ওডিআই বিশ্বকাপের আগে তামিম অবসর ঘোষণা করায় নড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। অভিমানে, চোখের জলে বিদায় ঘোষণা করা তামিম নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। অবশেষে এতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। শুক্রবার সস্ত্রীক শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তামিম। তারপরই অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন। আপাতত দেড় মাস ছুটিতে থাকবেন তিনি। এশিয়া কাপের আগে ফের দলে যোগ দেবেন তামিম। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে ফর্মের ধারেকাছে নেই তামিম ইকবাল। যা নিয়ে সমালোচনা চলছিল। মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো সংযোজন হয়েছিল চোট। সম্পূর্ণ ফিট না হয়েও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে খেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহে। সংবাদমাধ্যমে তামিমের সিদ্ধান্ত নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। জাতীয় দলের ক্যাপ্টেনকে অপেশাদার বলতেও পিছপা হননি। ঘরে, বাইরে প্রবল সমালোচনায় চাপ বাড়ছিল তামিমের। তারপরই হঠাৎ অবসর ঘোষণা করে দেন সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁকে চোখের জলে ভাসতে দেখে বোঝা গিয়েছে, প্রবল অভিমান রয়েছে। এই অভিমানের পাহাড় ভাঙতে শেষমেশ আসরে নামেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তামিমের কী কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে হাসিনার অনুরোধে তামিমের মন গলেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে না বলতে পারেননি তিনি। আপাতত বিশ্রামে থাকবেন। মেন্টাল ব্রেক নিতে চান তিনি। এশিয়া কাপের আগে দলে ফিরবেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বাকি দুটি ওডিআই ম্যাচে বাংলাদেশের নেতৃত্বভার থাকবে লিটনের কাঁধে।