২৭ বছর আগের সেই বিতর্ক ফেরালেন হ্যারিস রউফ

একে বিতর্ক বলা উচিত নাকি অখেলোয়াড়চিত মনোভাব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানে টেনশনের চোরাস্রোত, বাঁধভাঙা উত্তেজনা এবং পায়ে পায়ে ঢুকে পড়া অযাচিত বিতর্ক। হ্যারিস রউফ তেমনই কাণ্ড ঘটালেন। পাকিস্তানের পেস বোলার ঈশান কিষাণের উইকেট নিয়েছেন। ভারতের কিপার ব্যাটার চাপের মুহূর্তে চমৎকার ইনিংস খেলেছেন। ৮১ বলে ৮২ রানের এই ইনিংস বিশ্বকাপে তাঁর জায়গা পাকা করে দিতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে ধরলে টানা চার ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি। ঈশান যে চমৎকার ফর্মে আছেন, এশিয়া কাপের অভিষেকে বুঝিয়ে দিলেন। বাঁ হাতি ব্যাটারকে সামলাতে গিয়ে হ্যারিস চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। তাই কি নিয়ন্ত্রণ হারালেন? ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল বোধহয় সবচেয়ে উত্তেজক ভারত-পাক ম্যাচ। বেঙ্গালুরুতে সেদিন চরম বিতর্ক বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন আমির সোহেল। ক্রিকেট জেন্টলম্যানস গেম, এই তত্ত্বকে বোধহয় সরাসরি মাঠের বাইরে ছুড়ে ফেলেছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার। ভেঙ্কটেশ প্রসাদকে ৪ মারার পর সোহেল ইশারায় বলেছিলেন, মাঠের বাইরে থেকে বলটা থেকে কুড়িয়ে আনো। পরের বলেই জবাব দিয়েছিলেন প্রসাদ, সোহেলের উইকেট উড়িয়ে দিয়ে। ভারত-পাক মহারণের ইতিহাসে এই বিতর্ক পাকাপাকি জায়গা করে রেখেছে। ঠিক যেমন শারজায় কিরণ মোরের আউটের আপিল নকল করে লাফিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। হ্যারিস রউফের এই কাণ্ড তেমনই ‘চর্চা’য় থাকবে কিনা সময়ই বলবে। এখন কিন্তু এই অঙ্গভঙ্গি নিয়ে কম আলোচনা চলছে না। কী ঘটিয়েছেন হ্যারিস? ঈশান তাঁর বলে ছয় মারতে গিয়েছিলেন। মিস টাইম করায় তা গিয়ে পড়ে মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা বাবর আজমের হাতে। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। উইকেটে পেলে বোলার সেলিব্রেট করবেন, উল্লসিত হবে পুরো টিম। হ্যারিস তাই করতে গিয়ে ক্রিকেট স্পিরিটই জলাঞ্জলি দিলেন। ঈশান আউট হতেই উত্তেজক শরীরীভাষায় তাঁকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বললেন। অনেকটা যেন ‘নিকল’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিংয়ে আপাতত হ্যারিস রউফের এই অঙ্গভঙ্গি। পাকিস্তানের ডান হাতি পেসার তেমন ভালো বল করতে পারেননি। ৩টে উইকেট নিয়েছেন ঠিকই, যথেচ্ছ রানও দিয়েছেন। ঈশান বেধড়ক মেরেছেনও তাঁকে। সেই রাগেই কি এমন অঙ্গভঙ্গি পাক পেসারের?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 12 =