‘ঈশ্বরের আশীর্বাদেই পদক জিতেছি’, নাটকীয়ভাবে ব্রোঞ্জ জিতে বললেন হরজিন্দর

ব্রোঞ্জ জিতে খুশি। কিন্তু খুশি নন নিজের পারফরম্যান্সে। বার্মিংহ্যামে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমস থেকে ব্রোঞ্জ জেতার পরে হরজিন্দর কৌরের এমনটাই স্বীকারোক্তি। তার থেকেও বড় ব্যাপার হল আন্তর্জাতিক পদক জেতার পরে ভারতের মেয়ে বলছেন, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে দৈব শক্তি। ঈশ্বরের হস্তক্ষেপের জন্যই পদক উঠেছে তাঁর গলায়।
ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন হরজিন্দর। নাইজেরিয়ার ভারোত্তোলক জয় ইজে ক্লিন অ্যান্ড জার্ক ইভেন্টের তিনটি প্রচেষ্টাতেই ব্যর্থ হন। তার ফলে পদকের দৌড়ে ঢুকে পড়েন ভারতের মেয়ে হরজিন্দর। ৭১ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি। ভাগ্য তাঁর সহায় ছিল, নইলে পদক জেতা হত না তাঁর পক্ষে। সেই কারণেই হয়তো দৈব শক্তির কথা বলেছেন হরজিন্দর।

একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হরজিন্দর বলেছেন, ”কঠিন পরিশ্রম না করলে পদক জেতা যায় না। তবে আজ এই সাফল্যের পিছনে ঈশ্বরের হস্তক্ষেপ ছিল। অল্প নয়, বরং পুরোটাই ছিল। ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই পদক জিতেছি। আমার জন্য যাঁরা প্রার্থনা করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকে জবাব পেয়েছেন। আমার মা-বাবা প্রার্থনা করেছিলেন, তাঁরা ঈশ্বরের কাছ থেকে উত্তর পেয়ে গিয়েছেন।”

হরজিন্দর যে পরিকল্পনা করে বার্মিংহ্যামে নেমেছিলেন, তা খাটেনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী সব ঠিকঠাক হলে রুপোর দৌড়ে থেকে যেতেন হরজিন্দর। তিনি বলছেন, ”পদক পেয়ে আমি সন্তুষ্ট কিন্তু নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি একেবারেই সন্তুষ্ট ছিলাম না। যদিও পদক যখন এসেছে, তাতেই আমি খুশি।”

এই পরিক্রমায় কোচের ভূমিকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হরজিন্দর। তিনি বলেন, ”২০১৬ সালে আমি যখন শুরু করি, সেই সময়ে পরিবারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাইনি। তবে মানসিক ভাবে তাঁদের কাছ থেকে সাপোর্ট পেয়েছি। সেই সময়ে আমার কোচ পরমজিৎ শর্মা যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন। আমি পদক জিতব, এই বিশ্বাস আমার উপরে রেখেছিলেন। ওর আস্থাই আমাকে পদক জিতিয়েছে।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 2 =