সোনার স্বপ্নে ছাপ রেখেই চলেছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। সকালেই হানঝাউ এশিয়ান গেমস থেকে এসেছিল আর্চারিতে মেয়েদের কম্পাউন্ড টিম ইভেন্ট থেকে সোনা। জ্যোতি সুরেখা, অদিতি, পরনীত কৌররা দিয়েছিলেন ১৯তম সোনা। বেলা বাড়তে না বাড়তে আরও এক সোনার খোঁজ মিলল। এ বার স্কোয়াশের মিক্সড ডাবলস থেকে সোনা জিতলেন দীপিকা পাল্লিকল ও হরিন্দরপাল সিং। সব মিলিয়ে ২০টা সোনা জিতে ফেলল ভারত। এশিয়ান গেমসে ১০০ পদকের সন্ধানে নেমেছেন ভারতীয়রা। সেই লক্ষ্য থেকে খুব একটা দূরে নেই ভারত। স্কোয়াশের টিম ইভেন্টে মালয়েশিয়ার জুটি বিন্তি আজমান আরিফ ও মহম্মদ সফিক ছিলেন স্কোয়াশের মিক্সড ডাবলসের দ্বিতীয় বাছাই। তাঁদের ২-০ হারিয়ে সোনা জিতলেন ভারতীয় জুটি। মিক্সড ইভেন্ট থেকে এটা ভারতের প্রথম সোনা। বক্সিং, আর্চারির রিকার্ভ ইভেন্ট, মেয়েদের ব্যাডমিন্টন খানিকটা হতাশ করলেও অন্য়ান্য সফল ইভেন্টের মতো স্কোয়াশেও চমকে দিয়েছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। ছেলেদের টিম ইভেন্ট থেকে এসেছে সোনা। মেয়েদের টিম ইভেন্টে ব্রোঞ্জ। ছেলেদের সিঙ্গলসে ফাইনালে উঠে পড়েছেন সৌরভ ঘোষাল। তারই মধ্যে সোনা ফলল মিক্সড ইভেন্টে। ছেলেদের স্কোয়াশে যেমন কিংবদন্তির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন সৌরভ, মেয়েদের স্কোয়াশে তেমনই নামী মুখ দীপিকা। ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিকের স্ত্রীর কেরিয়ার জুড়ে রয়েছে সাফল্য। বিশ্ব মিট থেকে এশিয়ান স্কোয়াশে জিতেছেন একাধিক খেতাব। এশিয়ান গেমসেও বেশ সফল। ২০১৪ সালের ইঞ্চিয়ন থেকে ধরলে এ বারের এশিয়ান গেমস পর্যন্ত নানা ইভেন্টে মোট ৬টা পদক এসেছে। তবে এ বারই প্রথম সোনার স্বাদ পেলেন। এটা দ্বিতীয় পদক হানঝাউ গেমসে। দীপিকা ভারতীয় স্কোয়াশের প্রতিবাদী চরিত্রও। ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত জাতীয় টুর্নামেন্টে নামেননি ছেলে ও মেয়েদের আর্থিক পুরস্কারে বৈষম্য থাকার জন্য। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে যমজ ছেলের জন্ম দিয়েছেন। যে কারণে প্রায় দেড় বছর কোর্টের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। সেই সুপার-মম এ বার সোনার খাতায় নাম লিখিয়ে ফেললেন।