নিজস্ব প্রতিবেদন, পাণ্ডবেশ্বর: গ্রামের হরিনাম সংকীর্তন চলাকালীন সামান্য বচসা থেকে হাতাহাতির অভিযোগ, তাতে লাগল রাজনীতির রং। আহত উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, গ্রামের মধ্যে এভাবে ঝামেলা হচ্ছে শুনে, তা মেটাতে ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপির চার কর্মী, অভিযোগ অন্যায়ের প্রতিবাদ করাতে ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁদের। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল আশ্রিত দুÜৃñতীদের দিকে। ভিত্তিহীন অভিযোগ পালটা দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। বাদ্যকর পাড়ার বাসিন্দাদের দাবি, যেহেতু তারা তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত সেই কারণেই বিজেপির কর্মী সমর্থক বাউরি পাড়ার লোকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। অভিযোগ পালটা অভিযোগে উত্তপ্ত পাণ্ডবেশ্বরের সোনপুর বাজারি গ্রাম। শনিবারের ঘটনার জেরে রবিবারেও থমথমে গোটা এলাকা।
ভোট মিটতে না মিটতেই উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুরের পাণ্ডবেশ্বরে। গুরুতর আহত অবস্থায় চার বিজেপি কর্মীকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতে পাণ্ডবেশ্বরে বাজারি শোনপুর এলাকায় ২৪ প্রহরের (হরিনাম সংকীর্তনের) অনুষ্ঠান ছিল, বিজেপি কর্মী তথা গ্রামবাসী বিনোদ বাউরির দাবি, গ্রামে সামান্য অশান্তি তৈরি হয় বাদ্যকর ও বাউরি পাড়ার মধ্যে, সামান্য এই বচসা শেষমেশ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। দুই পাড়ার মধ্যে শুরু হয় ইট বৃষ্টি।
অভিযোগ, গ্রামের ঝামেলা পুলিশের মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চার বিজেপি কর্মী ঘটনাস্থলে গেলে, তৃণমূল আশ্রিত দুÜৃñতীরা তাঁদের ওপর চড়াও হয় লাঠিসোটা নিয়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ তাঁদেরকে নিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আসে। বর্তমানে তাঁরা চিকিৎসাধীন। সেই মুহূর্তে পুলিশের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
অন্যদিকে এলাকাবাসী তথা বাদ্যকর পাড়ার বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত বাপ্পা বাদ্যকরের দাবি, বাউরি পাড়ার লোকেরা নামকীর্তন অনুষ্ঠানে এসে অযথা ঝামেলা পাকালে অশান্তির সূত্রপাত হয়। এরপরই বাউরি পাড়ার লোকেরাই উলটে বাদ্যকর পাড়ার লোকেদের ওপর হামলা চালান। যদিও এই ব্যাপারে কোনও পক্ষই এখনও পর্যন্ত থানায় লিখিত আকারে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন ভূমিপত্র অধিকার মঞ্চের জেলা সভাপতি নিতাই বাউরি, তিনি এলাকায় শান্তির বার্তা দেন, পাশাপাশি তিনি জানান, এটা কোনও রাজনৈতিক ঝামেলা নয়। দুই পাড়ার মধ্যে সামান্য বচসা তার থেকে হাতাহাতি। এই ঘটনায় যারাই দোষী পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। এটাই পুলিশের কাছে তাঁদের আবেদন বলে জানান তিনি।