প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৮ ওভার বল করেছিলেন। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ছিল একমাত্র উইকেট। সেই তিনিই হঠাৎ এত মরিয়া হয়ে উঠলেন কেন? এতটাই যে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে পুরো কোটা করলেন। নিলেনও দুটো উইকেট। এত তাগিদ কীসের হার্দিক পান্ডিয়ার? যাঁকে ছাঁটাই করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন করা হয়েছিল তাঁকে, সেই রোহিত শর্মার হাতে এখন হার্দিকের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভাগ্য। গত বছর ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সময়ও মনে করা হত, হার্দিকের মতো অলরাউন্ডার দেশে বিরল। কিন্তু এ বারের আইপিএলে উঠে আসা একঝাঁক অলরাউন্ডার পিছনের সারিতে ঠেলে দিয়েছে হার্দিককে। বিশ্বকাপের টিমে আদৌ জায়গা পাবেন হার্দিক? রোহিত জানেন।
একটা ব্যাপার পরিষ্কার, যদি অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন, আইপিএলের ম্যাচে নিয়মিত বল হাতে দেখা যায় হার্দিককে, তা হলে বিশ্বকাপ টিমে তাঁকে ভাবা হতে পারে। ভারতীয় টিমের কোচ রাহুল দ্রাবিড়, নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান অজিত আগরকরের সদ্য বৈঠক করেছেন ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। ওই দু’ঘণ্টার বৈঠকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, ভারতীয় টিমে প্রত্যাবর্তন করতে চাইলে হার্দিককে নিয়মিত বল করতে হবে। নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। যতই মুম্বইয়ের ক্যাপ্টেন করা হোক, হার্দিকের ফর্ম একেবারে ভালো নয়। ব্যাটের পাশাপাশি বল হাতেও টিমকে ভরসা দিতে পারেননি। যা কোচ-ক্যাপ্টেন-নির্বাচকদের চিন্তায় রেখেছে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে বল করে দুটো উইকেট নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ধোনির মতো প্রৌঢ় ক্রিকেটার পর পর তিনটে ছয় মেরেছেন তাঁর বলে। যা দেখে অনেকেরই মনে হচ্ছে, হার্দিক পুরোপুরি ফিট নন। তাই বোলিংয়ে সেই ধার দেখা যাচ্ছে না।
ঘটনা হল, কয়েক বছর আগে আমিরশাহি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও চোট থাকা সত্ত্বেও তাঁকে টিমে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চরম ব্যর্থ হয়েছিলেন। বল হাতে সে ভাবে দেখাই যায়নি। এ নিয়ে বোর্ডের পাশাপাশি হার্দিকও চরম সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। এ বার আর তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছেন নির্বাচকরা। সেই কারণেই হার্দিককে চরম বার্তা দেওয়া হয়েছে, যদি বল হাতে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন, তবেই বিশ্বকাপ টিমে সুযোগ পাবেন। সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে হার্দিককে। যে কারণে মরিয়া হয়ে রানআপে দৌড়তে দেখা যাচ্ছে। যতই বিস্ফোরক ব্যাটার ভাবুন নিজেকে, বোর্ড কিন্তু তাঁকে বোলার-অলরাউন্ডার হিসেবেই ভাবছে। যদি হার্দিককে প্রত্যাশা মেটাতে না পারেন, তাঁর বদলে শিবম দুবেকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।