সানরাইজার্সকে হারিয়ে টানা জয় হার্দিকদের

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এ মরসুমে সেই অর্থে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিছু ক্লোজ ম্যাচ হেরেছে। আবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে গত ম্যাচটা দুর্দান্ত ভাবে জিতে নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জয়ের ধারা বজায় রাখলেন হার্দিকরা। এ দিন ওয়াংখেড়েতে চমক হয়ে দাঁড়াল পিচ। বিধ্বংসী সানরাইজার্সকে সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল মুম্বই। ওয়াংখেড়েতে সহজেই জিতল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। হার্দিক পান্ডিয়ার জন্য কিছুটা হতাশা হতে পারে, স্কোর সমান হওয়ার পর ছয় মারতে গিয়ে আউট হন।

শেষ দিকে আরও নাটকীয় হয়ে দাঁড়ায় পরিস্থিতি। জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ১ রান। হার্দিকের পর আউট নমন ধিরও। লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তে রিভিউ নেন তিনি। জায়ান্ট স্ক্রিনে যখন দেখেন, ব্যাটে বল লাগেনি, ক্রিজ ছেড়ে চলে যান নমন। আম্পায়ার তখনও বল ট্র্যাকারের অপেক্ষায়। ক্রিজে এসে অপেক্ষা করতে হয় মিচেল স্য়ান্টনারকে। জয়ের অপেক্ষাও বাড়ে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয়ের ব্য়বধান হতে পারত ৬ উইকেট। যেটা হল ৪ উইকেটের জয়! অবশেষে ১১ বলে বাকি থাকতে ২ পয়েন্ট হার্দিকদের।

ওয়াংখেড়েতে সাধারণত পেস-বাউন্সি পিচ দেখা যায়। তবে সানরাইজার্স ম্যাচে যে পিচ ব্য়বহার হল, তাতে স্লোয়ারেই সাফল্য় মিলছিল। বল থমকে আসছিল। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথম ওভারে জোড়া সুযোগ মিস। তা অবশ্য খুব বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬২ রান তোলে সানরাইজার্স। অভিষেক শর্মা ২৮ বলে ৪০ এবং হেনরিখ ক্লাসেন ২৮ বলে ৩৭ রান করেন। রান তাড়ায় মুম্বইয়ের টপ ও মিডল অর্ডারের সকলেই কিছু না কিছু অবদান রাখেন। ওয়াংখেড়েতে হারে চাপ বাড়ল সানরাইজার্সের। এখন তাদের কাছে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচ নকআউট হয়ে দাঁড়াল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − four =