শেষ দু-ওভারে খেই হারালেন হার্দিকরা

বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পর রজত পাতিদারের স্মার্ট ক্যাপ্টেন্সি। আরসিবি টিমের কাকে নায়ক ধরা হবে! সকলেই। ব্যাটিং বিভাগে বিরাট কোহলি, রাজত পাতিদার, জীতেশ শর্মারা অনবদ্য পারফর্ম করেছিলেন। চাপের মুখে দুর্দান্ত বোলিং ভুবনেশ্বর কুমার, জশ হ্যাজলউডের। আর ক্রুনাল পান্ডিয়ার শেষ ওভার! সব মিলিয়ে রুদ্ধশ্বাস, রোমাঞ্চকর ম্যাচ। কোনও বিশেষণই যেন যথেষ্ট নয়। লখনউয়ের পর আরসিবি। সেই ১২ রানেই হার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ব্যাট হাতে যেন নিজের টিমকেই জবাব দিলেন তিলক ভার্মা। লখনউ ম্যাচে ‘মন্থর’ ব্যাটিংয়ের জন্য তুলে নেওয়া হয় তিলককে। তিনিই এ দিন ২৯ বলে ৫৬ করলেন।

মুম্বইতে রানের বন্যা। প্রথমে ব্যাট করে ২২২ রানের বিশাল টার্গেট দেয় আরসিবি। পিচ যেমন ছিল এবং মুম্বই যেভাবে ব্যাটিং করছিল তাতে এই টার্গেট চেজ করা সম্ভব বলেই মনে হয়েছে। শেষ দু ওভারে ২৮ রানের প্রয়োজন ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। লখনউয়ের বিরুদ্ধে কার্যত এমন পরিস্থিতিতেই ছিল মুম্বই। এ দিন ১ রান কম। ১৯ তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে আউট হার্দিক পান্ডিয়া। জশ হ্যাজলউডের বোলিংয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে লিভিংস্টোনের হাতে। ১৫ বলে ৪২ করেন হার্দিক। ক্রিজে নমন ধিরের সঙ্গে যোগ দেন মিচেল স্যান্টনার। সিঙ্গল নিয়ে দ্রুতই স্ট্রাইক দেন হার্ট হিটার নমনকে। ১৯তম ওভারে ৯ রান দেন হ্যাজলউড।

শেষ ওভারে ১৯ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় মুম্বইয়ের। আগের ম্যাচের তুলনায় ৩ রান কম। ক্রুনাল পান্ডিয়াকে শেষ ওভারে বল দিয়ে স্মার্ট মুভ রজত পাতিদারের। প্রথম বলেই উইকেট ক্রুনালের। ডাগআউটে হতাশার হাসি আটকাতে পারলেন না ভাই হার্দিক পান্ডিয়া। দ্বিতীয় বলে অবিশ্বাস্য। বাঁ হাতি স্পিনার ক্রুনাল পান্ডিয়ার বাউন্সার! বড় শটের চেষ্টা দীপক চাহারের। বাউন্ডারিতে জুটি ক্যাচ।

হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল ক্রুনালের সামনে। স্টাম্পিং মিস জীতেশের। পরের ডেলিভারিতে সিঙ্গল। ফলে তিন ছক্কা ছাড়া আর জেতার কোনও রাস্তা ছিল না। বাউন্ডারি মারেন নমন। দুটো ছয় মারলে সুপার ওভারে গড়াত ম্যাচ। লো ফুলটসে থার্ডম্যানে আউট নমন ধির। ফলে নো বল না করলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় সেখানেই। অবিশ্বাস্য ১২ রানের জয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + 7 =