হার্দিকের ফেরাতেও জয় এল না

এক ম্যাচ, নানা দিক। শুভমন গিল বনাম অভিজ্ঞ হার্দিক পান্ডিয়ার ক্যাপ্টেন্সি। মরসুমের হার্দিকের প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স। মহম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত বোলিং। সব মিলিয়ে জমজমাট একটা ম্যাচ দেখল আমেদাবাদ। যদিও জোড়া অস্বস্তিও রয়েছে। বাউন্ডারিতে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট লাগে সাই সুদর্শনের। আবার ব্যাটিংয়ের সময় হেলমেটে বল লাগে সূর্যকুমার যাদবের। ১৯৭ রানের টার্গেট তাড়ায় নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬০ তোলে মুম্বই। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ৩৬ রানের জয় ছিনিয়ে নিল শুভমন গিলের গুজরাট টাইটান্স।

টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া। গত ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। ‘ঘরে ফেরার’ ম্যাচে জয়ে ফেরা হল না। হার দিয়ে অভিযান শুরু হয়েছিল, এই ম্যাচেও হার। অথচ তাঁর ক্যাপ্টেন্সি এবং বোলিং পারফরম্যান্স খুবই ভালো। গুজরাট টাইটান্স ওপেনিং জুটিতে তোলে ৭৮ রান। জস বাটলারও দারুণ একটা ইনিংস খেলেন। ১৭৯-৩ থেকে বিপর্যয়। মুম্বইকে ১৯৭ রানের টার্গেট দেয় গুজরাট টাইটান্স। শিশিরের প্রভাব, আমেদাবাদের পিচে এই টার্গেট সহজ বলাই শ্রেয়।

রান তাড়ায় শুরুতেই মুম্বইকে জোরালো ধাক্কা দেন ছন্দ’হীন’ সিরাজ। দীর্ঘ দিন পর আত্মবিশ্বাসী বোলিং। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ব্যাট-প্যাডের গ্যাপে রোহিত শর্মাকে বোল্ড করেন সিরাজ। আর এক ওপেনার রায়ান রিকলটনকেও ফেরান সিরাজই। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে তিলক ভার্মা ও সূর্যকুমার যাদব ইনিংস মেরামতিও করেন। কিন্তু তিলকের উইকেটের সঙ্গেই অস্বস্তি বাড়তে থাকে। ক্রমশ খোলসে ঢুকে পড়ে মুম্বই। ২৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংস সূর্যকুমার যাদবের। নমন ধির ও মিচেল স্যান্টনার হারের ব্যবধান কিছুটা কমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × two =