২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ৯৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। মাত্র এক রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেছিলেন সচিন। এবার সচিনের সেই অধরা রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন দীপক হুডা। শতরান করে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে উড়িয়ে দিলেন রেকর্ডের নতুন ধ্বজা। ম্যাচের পর হুডা বলছিলেন, সত্যি বলতে, আমি আইপিএলে ভাল ছন্দে ছিলাম। এবং সেই একই পারফরম্যান্স ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।
আমি আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করি এবং ইদানীং আমি উপরের অর্ডারে ব্যাট করার কারণে কিছুটা সময় পাচ্ছি। সঞ্জু আমার ছোটবেলার বন্ধু।
ওর সঙ্গে ব্যাট করতে সব সময়ই উপভোগ করি। ভক্তদের ধন্যবাদ, আমাদের সমর্থন করার জন্য। তবে দীপক হুডা শুধু দ্বিতীয় ম্যাচেই নয়, সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ওপেন করতে নেমে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন।
শতরান করলেন, সঙ্গে সচিন তেন্ডুলকরকে টপকে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে নতুন ইতিহাস লিখলেন। ইরফান পাঠান অনেকদিন আগেই করেছিলেন এই ভবিষ্যৎবাণী। আধুনিক ক্রিকেটে বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মিডল অর্ডারে একজন ভরসা করার মতো ব্যাটসম্যান প্রয়োজন ছিল ভারতের। দীপক হুদা সেই ভূমিকায় নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন, জানিয়েছিলেন ইরফান।
ইরফান পাঠান দীপকের জীবনে বিরাট মোটিভেটেরের কাজ করেছেন। তার ব্যাটিং তাণ্ডবে বিপক্ষ বোলাররা খেই হারিয়ে ফেললেন। টাইমিং এবং শক্তি দুটোই দেখা গেল তার খেলায়। ভিভিএস লক্ষ্মণ বসে বসে উপভোগ করছিলেন। সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন দীপক হুদা। চতুর্থ ভারতীয় হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি।
এর আগে রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল এবং সুরেশ রায়নার শতরান আছে টি টোয়েন্টিতে। ম্যাচ শেষে দীপক জানিয়েছেন তার আসল লক্ষ্য ভারতের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলা। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে খেলতে চান। তাই যখন সুযোগ আসবে নিজেকে উজাড় করে দেবেন। এখন দেখার আয়ারল্যান্ডে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স তুলে ধরার পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার জায়গা হয় কিনা।