রাতারাতি বাস্তুভিটে থেকে উৎখাত নয়, জানাল শীর্ষ আদালত

উত্তরাখণ্ডে আম জনতার বাস্তুভিটের অধিকার রক্ষায় শীর্ষ আদালতের রায়  ‘রাতারাতি ৫০ হাজার মানুষকে উৎখাৎ করা যায় না।’ বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি রেলের জমিতে যাঁরা দীরঘ্কাল বসবাস করছেন তাঁদের উৎখাত প্রসঙ্গে এমনটাই রায় সুপ্রিম আদালতের। সঙ্গে এও জানানো হয়, ২৯ একর জমির মালিক তারাই। কারণ, উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে রেলের এই জমিতেই ৫০-৬০ বছর ধরে রয়েছে হাজার হাজার পরিবার।বৃহস্পতিবার বিচারপতি সঞ্জয় কে কাউল এবং বিচারপতি এ এস ওকার বেঞ্চ এই রায় দিতে গিয়ে এও বলে, ‘সাত দিনে ৫০ হাজার মানুষকে উৎখান করা যায় না।’ শুধু তাই নয়, এই মামলায় রেল এবং উত্তাখণ্ড সরকারকে নোটিসও পাঠানো হয় শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি সঞ্জয় কে কাউল জানান,  ‘রেলের জমি মেনে নিয়েও ৫০-৬০ বছর ধরে থাকা মানুষদের পুনর্বাসনের কিছু ব্যবস্থা করা দরকার।’ জমিতে বাড়ির পাশাপাশি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আর তা সাত দিনে সবটা ফাঁকা করা যাবে কী করে, সেই প্রশ্নও এদিন তোলে শীর্ষ আদালত। বিচারপতিরা পাশাপাশি এও জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে এই এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ার কথা বলা উচিত হবে না। বাসিন্দাদের নথি আলাদা করে পরীক্ষা করাও দরকার বলে মন্তব্য করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

একইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে জানানো হয় যে, পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে ওই জমিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের উপযুক্ত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা উচিত। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত এও জানায়, জমি জবর দখলের অভিযোগ থাকলেও গোটা বিষয়টি মানবিক ভাবে দেখা উচিত বলেই মনে করে শীর্ষ আদালত। এই রায়ের পর অনেকেই মনে পড়ে গিয়েছে ২০১৬ সালের সিঙ্গুর রায়ের কথা। যেখানে সরকারের অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষাণা করে, কৃষককে জমি ফিরিয়েছিল শীর্ষ আদালত।

তবে বৃহস্পতিবারের জমি সংক্রান্ত রায়ে জোর ধাক্কা খেল রেল এবং উত্তরাখণ্ডের সরকার। প্রসঙ্গত,  হলদোয়ানি স্টেশনের পাশে বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একের পর এক বসতি। রেলের জমিতে শুধু ঘর-বাড়ি নয় স্কুল, কলেজ, ব্যাঙ্ক সবই রয়েছে। আর এই ২৯ একর জমি জবর দখল মুক্ত করার নির্দেশ দেয় উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। এরই প্রতিবাদে শআহিনবাগের কায়েদায় ধরনায় বসেন বাসিন্দারা। এরপরই মামলা গড়ায় শীর্ষ আদালতে।  মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ ফেব্রুয়ারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 15 =