বৃহস্পতিবার কুন্তল ঘোষের মুখে প্রথমবার শোনা গিয়েছিল হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তারই জেরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। কুন্তলের দাবি, এই হৈমন্তী গোপাল দলপতির স্ত্রী। যদিও বর্তমানে হৈমন্তীর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী, তাঁর বাপের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ মেলেনি।
সূত্রে খবর, হাওড়ার উত্তর বাকসারা কাটুরিয়া পাড়ায় হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের বাপের বাড়ি। এই বাড়িতে থাকেন হৈমন্তীর বাবা, মা, ছোট বোন। এদিকে কুন্তল এও জানিয়েছিলেন, হৈমন্তী গোপালের দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে এখন একসঙ্গে থাকেন না। এই খবর সামনে আসতেই নতুন করে শুরু হয় চাপানউতর। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে একের পর এক তথ্য় সামনে উঠে আসে। হৈমন্তীর মা দাবি করেন, মেয়ে নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেছিল। তাই তাঁরা বিয়ে নিয়ে কোনও খোঁজ খবরই করেননি। শুধু হৈমন্তীর মা নন, দিদির ভূমিকা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে গিয়ে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি হৈমন্তীর বোনও। হৈমন্তীর খোঁজ নিতে হৈমন্তীর বোন জানান, ‘আপনাদের কাজ দিদিকে খুঁজে বের করা। আমার কাজ নয়। আমি তো সিবিআইয়ে নেই, পুলিশেও নেই।’ এরপরই জামাইবাবু কী করতেন এই প্রশ্ন সাংবাদিকরা করতেই হৈমন্তীর বোন বিরক্তির সুরে জবাব দেন, ‘আপনারা জানেন’।
শুক্রবার সকাল থেকে হাওড়ার বাকসাড়া রোডে হৈমন্তীর বাবার বাড়ির সামনে মানুষের ভিড়। বহু নাটকীয় কথাবার্তা উঠে আসে হৈমন্তীর মায়ের বক্তব্যেও। এদিন হৈমন্তীর মা দাবি করেন, বহুদিন আগেই গোপালের সঙ্গে মেয়ের ডিভোর্স হয়ে যায়। একইসঙ্গে তিনি জানান, ৮-১০ দিন আগে হৈমন্তী আসে এখানে। দেখা করে চলে যায়। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘আমার মেয়ে কোনও কিছুতে যুক্ত নয়। যদি ধরা পড়ে সিবিআই তো চিঠি পাঠাবে।‘