ভাঙড়: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। এর মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়ও। নির্বাচনের আগে ভাঙড় উত্তপ্ত হবে, এটাই দস্তুর। সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামে তৃণমূল নেতা ফজলে করিমের বাড়ির লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির আওয়াজ শুনে খাটের নীচে ঢুকে যায় ফজলে করিম। সূত্রে খবর, প্রায় ১২ রাউন্ড গুলি চলে। ঘটনার পর বুধবার সকালেও তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায় এলাকায়। বোমা উদ্ধারে খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। এদিকে সকালে উঠে ফজলে করিম দেখেন, দরজা জানালার পাশাপাশি খাটের একাধিক জায়গাতে গুলির দাগ। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙড় থানার বিশাল বাহিনী রাতেই ফজলে করিমের বাড়িতে গিয়ে গুলির খোল উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পাশাপাশি শুরু হয় তদন্তও। এদিকে ফজলে করিম স্বয়ং জানান, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এমন ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন আগেই ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন এই ফজলে করিম। সেই কারণেই তাঁর বাড়িতে হামলা হয়েছে বলেই এদিন আশঙ্কা প্রকাশও করেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা জানান, ‘কাইজার একের পর এক অন্যায় অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি মুখ খুলেছিলাম। আমি সৎ নেতা। তাই এই হামলা।” আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বাড়িতে এসেছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম বলেন, “নিশ্চিতভাবে দল সিদ্ধান্ত নেবে। প্রশাসনের ওপর আস্থা রয়েছে। দুষ্কৃতী হামলার নিন্দা করছি। যারা দোষী, তারা নিশ্চিত শাস্তি পাবে।’ কাইজার যে দলের কর্মী, তাও স্বীকার করে নেন তিনি। কাইজারের বিরুদ্ধে যে এলাকাবাসীদের ক্ষোভ রয়েছে, তা স্বীকার করেছেন। তবে এটাও বলেন, ‘এখনই মুখ খুলতে পারছি না।’ এলাকার তৃণমূল নেতা আক্রান্ত, অভিযোগের তির এলাকারই দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই। রাজ্য কমিটির নেতা আক্রান্তের পাশে বসেই বলছেন, ‘এ বিষয়ে এখন মুখ খুলতে পারব না।’