চেন্নাইকে হারিয়ে আইপিএলে চলা শুরু গুজরাট টাইটান্সের

প্রথম ম্যাচেই টানটান লড়াই। আইপিএল যেমন দেখতে চেয়েছিলেন আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের লক্ষাধিক৷ শেষ হাসি অবশ্য হাসল গতবারের চ্যাম্পিয়নরাই। শুভমন গিলের অনবদ্য ইনিংস এবং রশিদ খানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভর করে ৫ উইকেটে জিতল গুজরাট। এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি সিএসকের। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে মাত্র ১৪ রানের মাথায় ডেভন কনওয়ের জোড়া স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়ে আইপিএলে তার ১০০তম উইকেটটি নেন শামি৷ শুরুর সেই ধাক্কা তাড়াতাড়ি কাটিয়ে ওঠে চেন্নাই। ফর্মে থাকা ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এদিন ৫০ বলে ৯২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংস ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানে পৌঁছে যায় চেন্নাই। অবশ্য ইনিংসের শেষ ওভারের মহেন্দ্র সিং ধোনি ৪১ বছর বয়সে একটি ছয় ও একটি চার মেরে তার ধামাকা দেখান। মাত্র ৭ বলে ১৪ রান করেন তিনি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল গুজরাট। যে ঋদ্ধিমান সাহাকে জাতীয় নির্বাচকরা বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছেন, তিনি এদিন বুঝিয়ে দিলেন পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। ১৬ বলে ২৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন ঋদ্ধি। এর আগে দুটি দুর্দান্ত ক্যাচও নিয়েছেন তিনি। এরপর ইনিংসের হাল ধরেন শুভমন গিল। কিন্তু উলটোদিকে সেভাবে সঙ্গত পাচ্ছিলেন না তিনি। উইলিয়ামসনের চোট আগেই ধাক্কা দিয়েছিল গুজরাটকে। সাঁই সুদর্শন এবং হার্দিকের দ্রুত ফিরে যাওয়া চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে অন্যপ্রান্তে ৩৬ বলে ৬৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন গিল। ১৫ ওভারের মাথায় গিলের উইকেটের পতন ফের ধাক্কা দেয় গুজরাটকে। তখনও দরকার ছিল ৪০ রান। তবে, শেষদিকে চেন্নাই বোলিং বিভাগের অনভিজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে নিলেন গুজরাটের ব্যাটাররা। মাথা ঠান্ডা রেখে হার্দিকদের জিতিয়ে দিলেন বহু যুদ্ধের নায়ক রশিদ খান এবং রাহুল তেওয়াটিয়া। শেষে ৪ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেল গুজরাট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 4 =