ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক হল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনবদ্য বোলিংয়ের পর জসের বসগিরি। দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল গুজরাট টাইটান্স। টানা দু-ম্যাচে জয় শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন টাইটান্সের। বোর্ডে আরও কিছুটা রান থাকলে ম্যাচটা রুদ্ধশ্বাস হতেই পারত। কিন্তু টসেই যেন পিছিয়ে পড়ল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দুটো অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়ের পর ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে মরসুমের প্রথম ম্যাচেই হতাশা।
হোম গ্রাউন্ড হলেও প্রথম ম্যাচ। পরিস্থিতি বুঝে ওঠা কঠিন। যে দলই টস জিতত, তাদের টার্গেট ছিল রান তাড়াতেই। টস জেতেন টাইটান্স ক্যাপ্টেন শুভমন গিল। সিদ্ধান্ত যেন রেডিই ছিল। রান তাড়ার কথাই জানান। আরসিবি ক্যাপ্টেন রজত পাতিদারও জানান, টস জিতলে তিনিও রান তাড়ারই সিদ্ধান্ত নিতেন। কারণ, প্রথম ম্যাচ হওয়ায় এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব বেশি জানা নেই আরসিবিরও। সেটাই যে অনেক পার্থক্য গড়ে দিল বলাই যায়।
আরসিবির টপ অর্ডার দুর্দান্ত পারফর্ম করছিল। টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্বস্তিতে পড়লেন বিরাট কোহলি, ফিল সল্টরা। পিচ থেকে শুরুতে পেসারদের জন্য সাহায্য থাকবে সেটাই প্রত্যাশিত। তাতেই খাবি খেলেন বিরাট কোহলিরা। তাঁকে ফেরান আর্শাদ খান। তিনে নামা দেবদত্ত পাড়িক্কলকে প্লেড-অন করেন মহম্মদ সিরাজ।
রান তোলার মরিয়া চেষ্টায় ছিলেন ফিল সল্ট। কিন্তু পিচ থেকে পেসাররা মুভমেন্ট আদায় করে নেওয়ায় শট খেলা সহজ ছিল না। সরে গিয়ে মহম্মদ সিরাজের বিরুদ্ধে বড় শট খেলার চেষ্টায় উইকেট ছিটকে যায় সল্টের। ক্যাপ্টেন রজত পাতিদারকে লেগ বিফোর করেন ইশান্ত শর্মা। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারালেও লিয়াম লিভিংস্টোন ও জীতেশ শর্মা পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন। শেষ দিকে টিম ডেভিড ১৮ বলে ৩২ রানের ক্যামিও খেলেন। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে আরসিবি।
এই মাঠে ১৭০ রানের টার্গেট বড় বলা যায় না। আরসিবির বোলিং লাইন আপও যথেষ্ট ভালো। কিন্তু চিন্নাস্বামীর ছোট মাঠ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং তুলনামূলক সহজ। অন্তত ২০০ অবধি টার্গেট থাকলেও চাপে পড়ত টাইটান্স। ক্যাপ্টেন শুভমন গিলকে ফিরিয়ে চেষ্টাও করেছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। কিন্তু সাই সুদর্শন এবং জস বাটলার অনবদ্য ব্যাটিং করেন। মাত্র ১ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া সাইয়ের। জসই বস। বাটলার মাত্র ৩৯ বলে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ১৮ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন শেরফান রাদারফোর্ড। ১৭.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্য পূরণ টাইটান্সের।