গুজরাত টাইটান্স দলের বিশাল রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান রয়েলসের শুরুটা ভাল হয়নি। খাতা না খুলেই ফিরে যান দেবদত্ত পাড়িকাল। সকলকে চমকে দিয়ে তিন নম্বরে পাঠানো হয় অশ্বিনকে। কিন্তু খুব বড় চমক দেখাতে ব্যর্থ তিনি। লকির বলে ৮ করে আউট হন অশ্বিন। রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (৮) রান আউট’ হলেন ভুল বোঝাবুঝির জন্য।
দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যান ডার ডুসেন (৬) কিছুই করতে পারলেন না। একা লড়াই করেছিলেন জস বাটলার। দুরন্ত অর্ধশতরান করলেন ইংলিশ তারকা। কিন্তু এরপর লকির দুরন্ত ইয়র্কার নাড়িয়ে দিল বাটলারের উইকেট। শিমরন হেটমায়ার (২৯) একটা চেষ্টা করেছিলেন ম্যাচে ফেরানোর।
কিন্তু তিনি আউট হয়ে যান শামির বলে। রিয়ান পরাগ এবং জিমি নিশাম অবশ্য হাল ছাড়েননি। মরিয়া লড়াই করেছিলেন। কিন্তু ফার্গুসন, শামিরা ডেথ ওভারে দারুণ বল করলেন। লকির বলেই ফিরে গেলেন পরাগ (১৮)। এখানেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের ভাগ্য। হার্দিক পান্ডিয়া নিজের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড করলেন জিমি নিশমকে। এদিনের ম্যাচ হার্দিক ময়। তিনিই যেন মুখ্য চরিত্র।
তাকে নিয়ে শেষ কয়েকদিনে অনেক কথা হয়েছে। প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। সিনিয়র ক্রিকেটার মহম্মদ শামির ওপর মাঠে রাগ প্রকাশ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় গালাগাল খেতে হয়েছে। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়া বুঝিয়ে দিচ্ছেন আইপিএলে তিনি অনেক উপেক্ষা এবং সমালোচনার জবাব দিতে নেমেছেন। হার্দিক বৃহস্পতিবার যখন ব্যাট করতে নামলেন, তখন গুজরাত টাইটান্স বেশ চাপে। শুভমন গিল, ম্যাথু ওয়েড, বিজয় শংকর কেউ বড় রান করতে পারেননি। কিন্তু গুজরাত টাইটান্স অধিনায়ক নামার পর থেকে ম্যাচে ফেরালেন দলকে। মনোহরের সঙ্গে পার্টনারশিপ জমে গেল। ৫২ বলে ৮৭ করেন হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু রান করার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল পরিস্থিতি বিচার করে খেলা। সেটা চমৎকার সামলালেন হার্দিক। যেমন স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন, তেমনই সুযোগ পেলে বড় শট মারলেন।