গুজরাত ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে ফের গ্রেপ্তার তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে গুজরাত পুলিশ তাঁকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করে বলে সূত্রে খবর। গত এক মাসের মধ্যে এ নিয়ে তিনবার গ্রেপ্তার করা হল তৃণমূল মুখপাত্রকে। সূত্রে খবর, সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার করেছে গুজরাত পুলিশে সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। শুক্রবার আইনি প্রক্রিয়ায় জন্য তাঁকে গুজরাতে আনা হবে বলেও জানা গেচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশের এক কর্তা। পাশাপাশি তিনি এও জানান, গুজরাত পুলিশের একটি দল রাজধানীতে আসছে বলে প্রথমে জানানো হয়। তবে তৃণমূল নেতাকে এই গ্রেপ্তারের বিষয়টি গোপন রেখেছিল। কেবলমাত্র জানানো হয়েছিল, বিশেষ অভিযান চালানোর জন্য তাঁরা দিল্লি আসছেন। পরে তারা তৃণমূল মুখপাত্রকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, গুজরাতের মোরবি সেতু ভেঙে পড়া নিয়ে গুজরাত সরকারের সমালোচনা করে একটি ট্যুইট করেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র। মোরবিতে সেতু ভেঙে প্রায় ১৪০ জনের মৃত্যু হয়।এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর মোরবি সফরে ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে আরটিআই-তে জানা গিয়েছে বলে দাবি করে একটি সংবাদমাধ্যম। সেই খবরই নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন সাকেত গোখলে। দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার জন্য যে টাকা খরচ হয়েছে, তা ক্ষতিপূরণের অঙ্কেরও ছ’গুণ।এই বক্তব্যের সপক্ষে নথিও প্রকাশ করেন সাকেত। আর ট্যুইটে দেওয়া নথি ভুয়ো, এই অভিযোগ করে প্রথমবার চলতি মাসের ৬ তারিখ গ্রেপ্তার করা হয় সাকেতকে। এই গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেন তৃণমূল নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন।এরপর৮ তারিখ ওই মামলায় গুজরাতের একটি আদালত জামিন মঞ্জুর করে সাকেত-এর।তবে জামিনের কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্রকে গ্রেপ্তার করে গুজরাত পুলিশ।সেখানে অভিযোগ হিসেবে দেখানো হয়, ভুয়ো খবর ছড়িয়ে নির্বাচনের সময় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁর এই গ্রেপ্তারি বলে দাবি করে পুলিশ।গত ডিসেম্বর তাঁকে আদালতে তোলা হলে, জামিন পান সাকেত।দ্বিতীয়বার জামিনের কুড়ি দিন পরে ফের গ্রেপ্তার হলেন তৃণমূল মুখপাত্র।এবার সাকেতের বিরুদ্ধে আনা হল টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ।