চাকরির দাবিতে এবার নজিরবিহীন প্রতিবাদের পথে চাকরিপ্রার্থীরা। গ্রুপ ডি নিয়োগের দাবিতে অবস্থান, অনশন সব কিছুই হয়েছে। তবে তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি তেমন। সেই কারণে এবার সিদ্ধান্ত নেওযা হল লং – মার্চের। আর এই প্রসঙ্গেই গ্রুপ-ডি নোয়গের ক্ষেত্রে যাঁরা অবস্থান বা অনশন করছেন তাঁদের তরফ থেকে জানানো হল, এবার তিনদিন ধরে রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, ২০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে নিয়োগের দাবিতে অবস্থান করেছেন তাঁরা। খুব স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্য গ্রুপ-ডি চাকরি প্রার্থীরা শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে ২১৯ দিনের বেশি সময় ধরে ধরনায় বসেছিলেন। তাঁদের দাবি, অবস্থানে বসার পরও রাজ্য সরকারের নজর পড়েনি তাঁদের দিকে। তাই পথে নামার এই সিদ্ধান্ত। তিনদিনের এই কর্মসূচিতে ৩ থেকে ৫ মার্চ লং মার্চ করবেন প্রার্থীরা। আর এই লং মার্চ করার ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অনুমতিও মিলেছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁদের তিনদিনের পদযাত্রা করার অনুমতি দিয়েছে। সুতরাং আইনের দিক থেকে কোনও বাধা আসার কথা নয়। হাইকোর্টের থেকে এই অনুমতি মেলার পরই তমলুক থেকে কলকাতায় শহিদ মিনার পর্যন্ত পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। অর্থাৎ মিছিল এগোবে শহরতলি থেকে শহরের দিকে।
একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, তমলুকের হোগলায় শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার বাসভবন থেকে শুরু হবে তিনদিনের পদযাত্রা। প্রথম দিন হোগলা থেকে বাগনান পর্যন্ত যাবে লং মার্চ। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ৪ এপ্রিল বাগনান থেকে মিছিল যাবে ধুলাগড়। তৃতীয় দিন অর্থাৎ ৫ এপ্রিল ধুলাগড় থেকে শহিদ মিনার পৌঁছবেন আন্দোলনকারীরা। কর্মসূচির শেষ দিন অর্থাৎ শহিদ মিনারে পৌঁছনোর পর নবান্নে ডেপুটেশন দেবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর অধীনস্থ দফতরে গ্রুপ-ডি পদেই নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই দাবিতেই দিনের পর দিন চলেছে আন্দোলন। প্রায় ৫ বছর ধরে নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁরা। ২০২২ সালে অবস্থান শুরু করেন এই চাকরি প্রার্থীরা। নবান্নের অধীন গ্রুপ ডি পদেই নিয়োগ নিয়ে এই আন্দোলন। কিছুদিন আগে খাঁচার মধ্যে বসে প্রতীকী প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন এই আন্দোলনকারীরা। এবার তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটছেন।