কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই জায়গায় ১৪৪৪ জনের যে নাম ঘোষণাও করা হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমের খোঁচায় গ্রুপ-ডি মামলায় চাকরি খুইয়েছেন ১ হাজার ৯১১ জন। তাঁদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। তবে এর জায়াগায় যাদের নিয়োগ করা হচ্ছে তাঁদের মধ্যেও ওএমআর শিটে জালিয়াতির অভিযোগ উঠছে। উঠছে ওয়েটিং লিস্টেও টাকার খেলার অভিযোগ। এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এসএসসি। তবুও আদালতের নির্দেশে তারা যে ১৪৪৪ জনের নামে তালিকা প্রকাশ করেছেতাঁদের চাকরি এখন দেওয়া হচ্ছে। তবে পাশাপাশি এ হুঁশিয়ারিও কলকাতা আদালতের তরফ থেকে দেওযা হয়েছে যে ওএমআর শিটে জালিয়াতি প্রমাণিত হলে, তাঁদের চাকরিও চলে যেতে পারে।
এদিকে একাধিক ওএমআর শিটে দেখা গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যকেই সাদা খাতা জমা দিয়েছেন। এদিকে শূন্য পাওয়া ওয়েটিং পদপ্রার্থী। কমিশনের প্রকাশিত কাউন্সিলিং লিস্টে তাঁদের নাম রয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশন এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলেও হাই কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ করা হয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে খবর।
আর এখানেই প্রশ্ন, কেন এত তাড়াতাড়ি নিয়োগ তা নিয়ে। কারণ, স্কুলগুলোতে যদি গ্রুপ ডি কর্মী না থাকেন, তাহলে খুবই সমস্যা হবে কাজের ক্ষেত্রে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে রাজ্যে এজি বিচারপতির সামনে সওয়াল করার সময় জানান, ‘স্কুলগুলোতে ঘণ্টা বাজানোর লোক থাকবে না।’ সে কারণেই এই দ্রুত নিয়োগ। শুধু তাই নয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, পিটিশনার অর্থাৎ মামলাকারীদের ওএমআর শিটেও জালিয়াতি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সম্ভাব্য ওয়েটিং লিস্টে থাকা নামের তালিকা প্রকাশ করল SSC। এরাই আপাতভাবে চাকরি পাবেন। ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের ওএমআর শিটেও কারচুপির আশঙ্কা করছে খোদ কমিশনই। মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের নম্বরে থাকতে পারে গরমিল। তবে আপাতত চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত। পরে গরমিলের অভিযোগ প্রমাণ হলে বাতিল হবে চাকরি। উল্লেখ্য, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন ৩ সপ্তাহের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। তবে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরপ্রার্থীদের ওএমআর শিটে গরমিল থাকলে চাকরি বাতিল হবে। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, আদালতের হস্তক্ষেপ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কমিশন।