নববর্ষে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে বাজারে নজরে এলো না গ্রিটিংস কার্ডের। অথচ এক সময় কে কত শৌখিন ভাবে নববর্ষে শুভেচ্ছা জানাতে পারে তা নিয়ে চলতো নিঃশব্দে এক প্রতিযোগিতাও। লেখা হতো ছড়া, তৈরি হতো কবিতাও। তুলে ধরা হতো নানা মহীষীর বাণীও। আর সেই কারণে নিউ ইয়ারের আগেই দোকানে দোকানে ঢল নামত স্কুল পড়ুয়াদের। আপাতত এই ছবিটা অতীত। একেবারে সহজ ভাষায় বললে তা এখন চলে গেছে অতীতের পাতায়। পুরোটাই এখন নস্টালজিয়া। কলেজ স্ট্রিট থেকে কলকাতার নানা জায়গা ঘুরে নজরে এল গ্রিটিংস কার্ডের দোকানের এক মলিন ছবি। একজনও ক্রেতা নেই। এমন ঘটনার পিছনে রয়েছে স্মার্টফোন। তারই হাত ধরে নতুন প্রজন্ম সোশাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা আদান-প্রদানে অনেক বেশি অভ্যস্ত। তাই এখন আর বাজারে মেলেই না কাগজের গ্রিটিংস কার্ড। শুধু কলকাতা কেন গ্রাম বাংলাতেও তৈরি হতো গ্রিটিংস কার্ড। তাও আবার নানা উপকরণে। যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁদের এখন বেছে নিতে হয়েছে নতুন কোনও কাজ। তাও একটা -দুটো দোকানে দেখা গেছে এই গ্রিটংস কার্ড বিক্রি হতে। তবে তাঁরা নতুন গ্রিটিংস কার্ডের সম্ভার সাজিয়ে বসেছেন তা নয়। গত কয়েক বছরে তাঁদের স্টকে থাকা কার্ডগুলিই সাজিয়ে রেখেছেন তাঁরা। যদি বিক্রি হয় সেই আশায়। কিন্তু খদ্দের কোথায়!