এশিয়া কাপের গ্রুপ বি জমিয়ে দিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে শুরুটা একে বারেই ভালো হয়নি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে গত বারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জিততেই হত। হারলেই বিদায়। চাপের মুহূর্তে অনবদ্য ব্যাটিং দুই তরুণ ক্রিকেটারের। মেহদি হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হাসান শান্ত দায়িত্ব নিলেন ব্যাটিংয়ে। বাকি কাজ সম্পন্ন করলেন বোলাররা। এ বারের টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করল আফগানিস্তান। গ্রুপ বি তে একটি করে ম্যাচ জয় শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের। এই গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। সেই ম্যাচে আফগানিস্তান জিতলে তিন দলেরই পয়েন্ট সমান হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে নেট রানরেট। বাংলাদেশের জয়ে এই গ্রুপে তিন দলেরই সুযোগ রইল সুপার ফোরের। লাহোরে ব্যাটিং সহায়ক পরিস্থিতি। মুলতানেও এমনটা দেখা গিয়েছিল। সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগালেন বাংলাদেশের দুই তরুণ ব্যাটার মেহদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হাসান শান্ত। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিবও জানান, টস জেতায় ভাগ্য খুলে গিয়েছিল। শুরুতেই চমক দেন সাকিব। ওপেনিংয়ে পাঠান মেহদি হাসান মিরাজকে। তাঁর ওপেনিং সঙ্গী মহম্মদ নইমের (২৮) কিছুটা আপশোস থাকতে পারে। সেট হয়েও বড় রান এল না। তিনে নামা তৌহিদ হৃদয় ২ বল খেলেই ফেরেন। মিরাজের সঙ্গে যোগ দেন শান্ত। দু-জনেই সেঞ্চুরি করে বড় রানের ভিত গড়ে দেন। মেহদি ১১২ রানে অবসর নেন। শান্ত করেন ১০৫ বলে ১০৪। শেষ দিকে মুশফিকুর, সাকিবরা কিছুটা রান যোগ করেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৩৪-৫ এর বিশাল স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। লাহারের পিচ এবং আফগানিস্তানের টিমের কাছে এই লক্ষ্য অসম্ভব ছিল না। এর জন্য ভালো শুরু প্রয়োজন। সেটাই হতে দিলেন না বাংলাদেশের বাঁ হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রহমানুল্লা গুরবাজকে ফিরিয়ে স্পেল শুরু করেন শরিফুল। এখান থেকেই আফগানিস্তানের রাস্তা কঠিন হয়। আর এক ওপেনার ৭৫ রানের ইনিংস খেললেও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকে বাংলাদেশ। অধিনায়ক হসমতুল্লা শাহিদি অর্ধশতরান করেন। শেষ দিকে আফগান ব্যাটাররা মূলত চেষ্টা করছিলেন হারের ব্যবধান কমানোর। লেগ স্পিনার রশিদ খান ১৫ বলে ২৪ রান করেন। আফগানিস্তার উইকেট থাকলে আরও ক্লোজ ম্যাচ হতে পারত। ৪৪.৩ ওভারেই আফগানিস্তানকে ২৪৫ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ ৪ এবং শরিফুল ইসলাম ৩ উইকেট নেন। ৮৯ রানের বড় জয়ে নেট রানরেটও বাড়িয়ে নিল বাংলাদেশ।