ফরাসি ওপেনের ইতিহাসে এই প্রথম। কেরিয়ারের সেরা মঞ্চ এটাই। রোলাঁ গারোর সেই লাল-মাটির কোর্টে প্রথম রাউন্ডেই বিদায়। এমনটা আগে হয়নি। সে কারণেই হতাশার। বর্ণময় কেরিয়ারে মোট ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন রাফায়েল নাদাল। এর মধ্যে ১৪টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন ফরাসি ওপেনেই। সেই টুর্নামেন্টেই প্রথম রাউন্ডে বিদায় স্প্যানিশ তারকা রাফায়েল নাদালের। প্রথম রাউন্ডে আলেকাজান্ডার জেরেভের কাছে হার।
দীর্ঘ সময় ধরেই চোট-আঘাতে ভুগছিলেন রাফায়েল নাদাল। নিয়মিত খেলতে পারেননি। রাফায়েল নাদাল ফিরছেন, এই খবরেই উচ্ছ্বাসে ভাসছিল প্যারিস। লাল-মাটির কোর্টে রাফার খেলা দেখার মতো আনন্দ টেনিস প্রেমীদের কাছে আর নেই। রাফার প্র্যাক্টিসেও ভিড় জমিয়েছিলেন অনুরাগীরা। তবে সেই আনন্দ এত দ্রুত শেষ হয়ে যাবে তা হয়তো প্রত্যাশা করেননি। ফরাসি ওপেনে হয়তো শেষ বার অংশ নিলেন রাফায়েল নাদাল। আগামী মরসুমে তাঁকে কোর্টে দেখা যাবেই, গ্যারান্টি নেই।
টেনিসের ইতিহাসে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ফরাসি ওপেনের মঞ্চে রাফায়েল নাদালকে হারালেন জার্মানির আলেকজান্ডার জেরেভ। তাও আবার স্ট্রেট সেটে! প্রথম সেট সহজেই জেতেন জেরেভ। দ্বিতীয় সেটে প্রত্যাবর্তনের একটা ইঙ্গিত ছিল রাফার খেলায়। সেই যেন পুরনো রাফাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল। যদিও দ্বিতীয় সেটটি টাইব্রেকারে জিতে নেন জেরেভ। ০-২ পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানো খুবই কঠিন ছিল। রাফাও পারেননি। শেষ অবধি জেরেভের জয় ৬-৩, ৭-৬ (৭-৫), ৬-৩ ব্যবধানে।
ফরাসি ওপেনে কি শেষ বার নামলেন? কোর্ট ইন্টারভিউতে কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল বলেন, ‘এটাই আমার শেষ বার কিনা, আমিও একশো শতাশ নিশ্চিত নই। আমি এই টুর্নামেন্ট উপভোগ করেছি। এখানে দারুণ সমর্থন থাকে। প্রস্তুতির সময় এবং আজও ম্যাচে প্রচুর সমর্থন ছিল। আজকের অনুভূতিটা অবশ্য আলাদা। ২ মাস আগে ফিটনেসের দিক থেকে যেমন ছিলাম, এখন অনেক ভালো রয়েছি। আপাতত অবসরের কোনও ভাবনা নেই।’