শুক্রবারই রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোসকে কড়া আক্রমণ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। আর এবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা সুর চড়ালেন রাজ্যপাল। সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যপাল বোসের। শনিবার রাতেই আরও বড় পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানান, ‘আমি যে কাজ করছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। আজ মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। আপনারা দেখতে পাবেন, কী করতে চলেছি।’ রাাজ্যপালের এই বার্তা থেকে স্পষ্ট যে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত আরও চরমে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। তাঁকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গেও তুলনা করতে দেখা যায় শিক্ষামন্ত্রীব্রাত্য বসুকে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজের পদ্ধতির সমালোচনা করার সময় মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে এই তুলনা টানেন ব্রাত্য বসু। শনিবার এই প্রসঙ্গেই রাজ্যপাল তথা বাংলার সাংবিধানিক প্রধান দিয়ে রাখলেন এক চরম বার্তা। রাজ্যপালের এই হুঁশিয়ারির থেকেই নতুন করে চর্চা হতে শুরু করেছে, কী পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজভবন। শিক্ষামহলের একাংশের অনুমান, শনিবার মধ্যরাতে রাজভবনের তরফে বড় কোনও পদক্ষেপ করা হতে পারে।
শুক্রবার রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, এটা হয়ত সাময়িক খামখেয়ালিপনা। কিন্তু পুরোটাই তুঘলকীয়। ভেবেছিলাম, আলাউদ্দিন খলজি যেমন মাঝে মাঝে মৃগয়ায় যেতেন, সেরকম হবে। কিন্তু পুরোটাই যে মহম্মদ বিন তুঘলকের মতো, সেটা আমি বুঝতে পারিনি।’
তবে রাজ্যপাল-রাজভবনের এই সংঘাত ঘিরে রাজ্যের উচ্চশিক্ষার প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অনেকদিন ধরেই টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ চরমে।এদিকে এমনই এক প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে ডেকেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু সেখানেও দেখা যায়, অনেক রেজিস্ট্রারই অনুপস্থিত। ৩১ জন রেজিস্ট্রারকে ডাকা হলেও, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১২ জন। ১৯ জন রেজিস্ট্রার বৈঠকে অনুপস্থিত। সূত্রে খবর, বিকাশ ভবনের এই বৈঠকে গরহাজির থাকা এই সব রেজিস্ট্রারকে শো-কজ করা হয়েছে।