‘চিঠি আর মিস্ট্রি নেই, হিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে।’ অবশেষে নবান্ন আর দিল্লিতে মাঝরাতে পাঠানো নিজের দুটো কনফিডেন্সিয়াল চিঠি নিয়ে শুক্রবার মুখ খুলতে দেকা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। শুক্রবার সাংবাদিক সামনে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উঠে আসে এই চিঠির প্রসঙ্গ। তখনই তিনি বলেন, ‘দুটি চিঠির উত্তর পাওয়া নিয়ে পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তা দুই সাংবিধানিক সহকর্মীর মধ্যে থাকাই বাঞ্ছনীয়।’
মধ্যরাত পর্বের’মাধ্যমে নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বর মাঝরাতে রাজ্যপাল নবান্ন ও দিল্লিতে চিঠি পাঠান। তার আগের সন্ধ্যাতেই রাজ্যপাল বার্তা দিয়েছিলেন, মধ্যরাতে তিনি কোনও পদক্ষেপ করবেন।তখন উপাচার্য নিয়োগ ইস্যু তথা নব নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে সংঘাত তুঙ্গে। ফলে‘গোপন সেই চিঠি কী আছে তা নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখনই রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এখন বিদেশে, সুদূর স্পেনে যাচ্ছেন। এখনই কিছু বলব না।’ একইসঙ্গে তিনি এও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি টেনশন দিতে চান না। তাতে জল্পনা আর বিতর্ক দুটোই বাড়ে।এদিকে এই চিঠির ইস্যুতে রাজ্যপালকে ‘ভ্যাম্পায়ার’ বলে আক্রমণ করতে দেখা যায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। সেই চিঠি নিয়ে এবার মুখ খুললেও ঘটনা কিন্তু সামনে আনলেন না।