শ্রম দিয়ে বেতন পেয়েছেন, সেই টাকা ফেরাবেন কেন? ডিভিশন বেঞ্চে নতুন মামলা চাকরি হারাদের একাংশের

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন শিক্ষক-অশিক্ষক মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার কর্মী। তাঁদের এতদিনের বেতনও ফেরাতে বলা হয়েছে। চাকরি সংক্রান্ত নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আগেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রুপ ডি কর্মী ও ওএমআর শিট বিকৃতির কারণে চাকরি হারানো শিক্ষকরা।

এবার বেতন কেন ফেরত দেব, প্রশ্ন তুলে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন চাকরিহারা কয়েকজন গ্রুপ ডি কর্মী । তাঁদের কথায়, ৫ বছর চাকরি করেছি। বিদ্যালয়ে নিজের শ্রম দিয়েছি। কেন ফেরত দেব বেতন ?

২০১৬-এর ওএমআর শিট দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে, ৮০৫ জনের। তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৯৫২ জন শিক্ষক।

বেতন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন গ্রুপ ডি-র কর্মীদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, এত বছর শ্রম দিয়েছি, বেতন কেন ফেরত দেব? বৃহস্পতিবার তাঁদের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে গ্রুপ ডি-র ১ হাজার ৯১১ জন কর্মীর। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, এই অযোগ্য প্রার্থীরা কোনও সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অনুমতি ছাড়া এঁদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা যাবে না।নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এই ১ হাজার ৯১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। কেউ অসহযোগিতা করলে, প্রয়োজনে হেপাজতেও নিতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, বলেও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।

সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি হারাদের একাংশ।চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন কয়েকজন চাকরিহারা। এবার বেতন ফেরতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে নতুন মামলা দায়ের হল।

আদালতে গ্রুপ ডি-র কর্মীদের সওয়াল, তাঁরা গত ৫ বছর ধরে চাকরি করছেন। চাকরি পাওয়ার পর যথাযথ শ্রম দিয়েছেন, তাহলে এখন কেন বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? এই আবেদন নিয়ে শুনানি বৃহস্পতিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − ten =