গোপাল দলপতির তদন্তে সামনে এল আরও এক নতুন নাম

গোপালের সূত্র ধরে উঠে এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উঠে আসছে আরও একাধিক নাম। এবার সিবিআই আধিকারিকদের কাছ থেকে তথ্য মিলল বিশ্বনাথ গায়েন নামে একজনের। বেহালার বাসিন্দা এই বিশ্বনাথ গায়েন, যাঁর রয়েছে ট্যুরস-ট্রাভেলসের ব্যবসা। বিশ্বনাথবাবুর অবশ্য দাবি ভিন্ন। তিনি জানান, উনি দীর্ঘদিন আমার কাছে রেল বা বিমানের টিকিট কাটতেন। সেই থেকে আলাপ। ট্রেন বা বিমানের টিকিট নিতে গোপাল দলপতির তাঁর অফিসে যাতায়াত ছিল। অভিযোগ, এক সময় গোপাল তাঁর সঙ্গে ব্যবসা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। গোপাল তাঁকে আশ্বাস দেন ব্যবসার পুঁজিও তিনিই দেবেন। এরপর একটা সংস্থাও তাঁরা খোলেন। মূলত আরমানের উদ্যোগেই ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে উইনার্স জোন এন্টারটেনমেন্ট এলএলপি নামে একটি নতুন কোম্পানি চালু হয়। আরমান ছাড়াও যার অন্যতম অংশীদার ও ডিরেক্টর ছিলেন বিশ্বনাথ।                          তবে কাগজে কলমে কোম্পানি নথিভুক্ত করা ছাড়া আর কোনও কাজই এগোয়নি। এমনকী গোপালকে পরে বহুবার ফোন করলেও সাড়া মেলেনি গোপাল দলপতির তরফ থেকে। তবে বিশ্বনাথ গায়েন মেনে নেন, তিনি গোপাল দলপতিকে চেনেন। আর এখানেই তাঁর বক্তব্য, ‘গোপাল দলপতির নামে আমার সঙ্গে কোনও পার্টনারশিপ হয়নি। আমার সঙ্গে যে কোম্পানির চুক্তি হয়েছিল, তার প্রধান আরমান গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কোম্পানি এখনও কাজই শুরু করেনি।‘ সঙ্গে বিশ্বনাথবাবু এও জানান, তাঁর নিজস্ব একটি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর কোম্পানি আছে। সেটাকেই ওই কোম্পানির সঙ্গে মিলিয়ে বড় করার পরিকল্পনা ছিল।

একইসঙ্গে বিশ্বনাথবাবু এও জানান, তাঁর নিজের যে কোম্পানি তা দীর্ঘদিনের। গোপালের সঙ্গে টাকার লেনদেনও হয়নি। অর্থাৎ, যে আশ্বাস দিয়েছিলেন গোপাল দলপতি তারপর বিন্দুমাত্র কোনও কাজ এগোয়নি। এরই সূত্র ধরে বিশ্বনাথবাবু বলেন, পরিকল্পনা ছিল দুজনের টাকা লাগিয়ে একটা কোম্পানি ওয়েবসাইট তৈরি করার। সেখান থেকে আমরা কাজ করব। একটা বড় জায়গা তৈরি হবে। তবে উনিই পরে ডিঅ্যাক্টিভ হয়ে যান। পরে ওনাকে আর ফোনেও পাই না। ফলে কাজের কাজ আর কিছুই হয়নি।

তবে তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গোপাল দলপতির যুক্ত হওয়ার তথ্য সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে দমদম ক্যান্টনমেন্টে এক সময় অঙ্কের শিক্ষকতা করেছেন। ছাত্র পড়িয়েছেন ‘গোপাল স্যার’। এরপর কম্পিউটার সেন্টার খোলারও পরিকল্পনা ছিল বলেও জানা গিয়েছে। কারণ, এমনটাই জানিয়েছেন, যে বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলেছিলেন এই গোপাল দলপতি তারই মালিক। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার খোঁজ মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে গোপাল দলপতিকে নিয়ে নিত্য নতুন তথ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + 10 =