ছোট্ট সন্তাকে নিয়ে বেড়াতে যাবেন? ভয় না পেয়ে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখুন

ঘুরতে ভালোবাসেন? আগে একটু ছুটিছাটা ম্যানেজ করলেই বেরিয়ে পড়তেন। কিন্তু এখন সন্তান এসে যাওয়ায় ভাবনা, এবার কী হবে তাইতো? মনটা বেড়ানোর জন্য হাঁকপাক করছে অথচ ভাবছেন ছোট বাচ্চা নিয়ে যাওয়াটা ঠিক হবে কী না!

এই সমস্যা অসংখ্য বাবা-মায়ের। তবে ভয় না পেয়ে ছোট থেকেই বাচ্চাকে বেড়ানোর উপযুক্ত করে তুলুন। আর হ্যাঁ, বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু টিপস মেনে চলুন। তবে সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার, এ বিষয়ে অবশ্যই ডাক্তারকে জানিয়ে রাখুন। প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে নিন।

১) প্রথমবার খুদেটিকে বাইরে নিয়ে যেতে হলে কয়েক ঘণ্টার প্ল্যান করুন। গাড়ি বা ট্রেন, এক ঘণ্টা জার্নি করে দেখুন বাচ্চা কীরকম রেসপন্স করছে। ওকে মাঝে মধ্যে এভাবে ছোট ছোট ট্রিপ করিয়ে বড় ট্রিপের জন্য তৈরি করুন।

২)বাচ্চাকে বাইরে নিয়ে যেতে গেলে অবশ্যই তার খাওয়া ও হাইজিন দুটোই মাথায় রাখতে হবে। জামাকাপড়ও বেশি করে নিতে হবে।

৩) বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য সেরেল্যাক বা এই জাতীয় জিনিস নিন। সবচেয়ে ভালো হয় ইলেকট্রিক কেটল নিয়ে নিলে। তাছাড়া চেষ্টা করুন একটু ভালো হোটেল বাছার। যাতে জার্নির পর বাচ্চা আরামে থাকতে পারে। বড় হোটেলে ইলেকট্রিক কেটল থাকে। এক্ষেত্রে বাচ্চাকে দুধ বা সেরেল্যাক খাওয়াতে যেমন গরম জলের সমস্যা হবে না, তেমনই বাচ্চার বাটি, বোতল গরম জলে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া যাবে।

৪)শিশুকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার সময় মাঝরাতে ছাড়বে এমন বিমানের টিকিট না কাটাই শ্রেয়। সারা রাত ঘুম না হলে শিশুরা সারা দিন ঘ্যানঘ্যান করতে পারে। ভ্রমণের সময় শিশুরা স্বচ্ছন্দবোধ করবে এমন পোশাক পরাবেন।

৫) বাচ্চাকে নিয়ে ভ্রমণের সময় সঙ্গে অবশ্যই বাড়তি খাবার রাখবেন। কোনও কারণে ট্রেন কিংবা বিমান দেরি করে গন্তব্যে পৌঁছলে তার যেন কোনও সমস্যা না হয়। রাস্তায় বাইরের খাবার একদম নয়। নিজেদের হ্যান্ডওয়াশ কাছে রাখুন। বাইরে খাওয়ার আগে সেটি দিয়ে সন্তানের হাত ধুইয়ে দিন।

৬) বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুব জরুরি হল ওষুধ। জ্বর, পেট ব্যাথা, শর্দি-কাশি এই ধরনের ওষুধের পাশাপাশি বাচ্চার সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে বাচ্চাকে নিয়ে বের হবেন। ডাক্তারের থেকেই প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা করিয়ে নেবেন।

৭) যেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন সেখানকার হাসপাতাল সম্পর্কেও প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়ে রাখাটা ভালো। কারণ, কোনও বিপদ হলে ভাবার সময় থাকবে না। পাশাপাশি যে ডাক্তার আপনার সন্তানকে দেখেন তাঁর ফোন নম্বরও কাছে রাখা খুব জরুরি। যাতে এমারজেন্সিতে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নেওয়া যায়।

৮) বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে ডে ট্রিপ তারপর এক-দুদিনের ট্রিপ করুন। প্রথমে সমুদ্রের ধার, তারপর কাছাকাছি কোথাও নিয়ে গিয়ে বাচ্চাকেও দূর যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করুন। দেখুন তার কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা। খুব ছোট বাচ্চাকে ভীষণ গরম বা ঠান্ডার জায়গায় না নিয়ে যাওয়াই ভালো।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =