নিজস্ব প্রতিবেদন, হুগলি: রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামো যে একেবারে বেহাল হয়ে পড়েছে, তার একটি নিদর্শন কি হুগলি জেলার গোঘাট দু’ নম্বর ব্লকের পান্ডু গ্রামের বেনেপুকুর শিবতলা উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়? স্থায়ী শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী নেই, শুধু ßুñল বাড়ি আছে, পড়ুয়া আছে। স্থায়ী শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে স্কুল।
জানা গিয়েছে, এই স্কুলে কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই দু’টি মাত্র অবসরপ্রাপ্ত অতিথি শিক্ষক দিয়ে চলছে। আবার গ্রামের মধ্যে দু’জন বিনা পারিশ্রমিকে পঠনপাঠন করাচ্ছেন। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই স্কুলে বর্তমানে খাতা-কলামের মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ২৩ জন। চরম অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলছে স্কুল।
গ্রামবাসীদের দাব,ি অশিক্ষক কর্মী না থাকায় পড়াশোনার বদলে ঝাঁট দেওয়া থেকে শুরু করে স্কুলের ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও পানীয় জল বয়ে আনা, সবই করতে হয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের। ফলে পড়াশোনা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে বলেই দাবি অভিভাবকদের। আর এই কারণেই আস্তে আস্তে এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমছে বলে স্বীকার করে নেন ßুñলের দায়িত্বে থাকা মাস্টার মশাই। আগে সব ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পাঠাতেন অভিভাবকরা। কিন্তু এই স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা দেখে এখন আর এই স্কুলে ছেলে মেয়েদের পাঠাতে চান না তারা। যাতে ßুñল বন্ধ না হয়, তার জন্য গ্রামের এক শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে বিনা পারিশ্রমিকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। স্কুলের পরিকাঠামো ভালো থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করার দাবি উঠছে।
স্থানীয় গ্রামের এক ব্যক্তি জানান, ২০১২ সাল থেকেই স্কুলে নানা সমস্যার মধ্যেই চলছে। আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু স্থায়ী শিক্ষক পায়নি। শিক্ষার পরিকাঠামো একেবারে ভেঙে গিয়েছে। তাই সকলে অন্য স্কুলে নিয়ে চলে যাচ্ছেন ছেলেমেয়েদের। গ্রামের মধ্যে এই স্কুলটিতে সরকার শিক্ষক না নিয়োগ করলে বন্ধ হয়ে যাবে বিদ্যালয়টি।