নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া– হাতির হাত থেকে ফসল বাঁচাতে গজলক্ষ্মীর আরাধনা বাঁকুড়ায়। হাতির হাত থেকে মাঠের ফসল বাঁচাতে এই আরাধনা গ্রামের মানুষের। জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম রামকানালী। যেখানে হামেশাই ঢুকে পড়ে হাতির দল। ক্ষতি করে এলাকার ফসল। সেই হাতির হাত থেকে ঘরের লক্ষ্মী অর্থাৎ মাঠের ফসল বাঁচাতে গ্রামে শুরু হয়েছিল গজলক্ষ্মীর আরাধনা। প্রায় শতাধী প্রাচীন এই পুজো। প্রাচীন রীতি রেওয়াজ ও বিশ্বাসের উপর ভর করে বাঁকুড়ার রামকানালী গ্রামে গজলক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠেন গ্রামের মানুষ।
বাঁকুড়ার রামকানালি গ্রামে মহাধুমধামে পূজিতা হন দেবী লক্ষ্মী। তবে প্রতিমার দিক থেকেই হোক বা আচার অনুষ্ঠান, আর পাঁচটা লক্ষ্মী পুজোর সঙ্গে মেলেনা রামকানালি গ্রামের মাহিষ্য পরিবারের লক্ষ্মীপুজোর ধরনধারণ। এখানে লক্ষ্মীর প্রতিমার অবস্থান হাতির পিঠে। আর এলাকায় মানুষ নামকরণ করেছেন গজলক্ষ্মী। প্রায় ১২৬ বছরের প্রাচীন এই পুজো। পূর্ব পুরুষদের হাতে গড়া এই পুজো আজও সমানভাবে পালন করে চলেছেন মাহিষ্য পরিবারের মানুষজন। হাতির হাত থেকে ফসল বাঁচাতে হাতির আরাধনা লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে। রামকানালি গ্রামের ৪০টি মাহিষ্য পরিবারের প্রধান পুজো এই গজলক্ষ্মী। কৃষি প্রধান গ্রাম। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে রয়েছে কৃষিজমি। জঙ্গলের হাতি হামেশাই হামলা চালায় গ্রামের কৃষি জমিতে। সেই গজরাজদের হাত থেকে মাঠের ফসল বাঁচিয়ে লক্ষ্মীলাভের আশায় তাই লক্ষ্মী পুজোর পাশাপাশি একইসঙ্গে গজরাজের আরাধনা করেন গ্রামের মানুষ। গ্রামে রয়েছে মন্দির। আজও সেখানে পালিত হন দেবী গজলক্ষ্মী। এলাকার মানুষের বিশ্বাস, গজলক্ষ্মীর আরাধনার মধ্যেই গজরাজ সন্তুষ্ট হবেন, ফসলের ক্ষতি থেকে রক্ষা হবে। মাঠের লক্ষ্মী বাড়িতে তুলে আনতে পারবেন কৃষকরা।

