পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গিলই শাহিনকে গিলে খেয়ে করলেন হাফ সেঞ্চুরি

রবিবারের মহারণ পাকিস্তানের দুরন্ত পেস অ্যাটাকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের অ্যাসিড টেস্ট। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে মিডল অর্ডার খুব গুরুত্বপূর্ণ ডিপার্টমেন্ট। কিন্তু টপ অর্ডার যদি ভালো শুরু দিতে পারে, তা হলে চাপ অনেক কমে যায়। বিশেষ করে কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গত দু’বছরের ওয়ান ডে রেকর্ড, ফর্ম, রানের খাতা, বোলারদের ধারাবাহিকতা, সব ধরলে পাকিস্তান অত্যন্ত ব্যালান্স টিম। কিন্তু ভারতীয় ওপেনাররা যদি ফর্মে থাকেন, তা হলে বোলাররা কার্যত দর্শক হয়ে পড়তে পারেন, তা দেখিয়ে দিলেন ২৩ বছরের গিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে ১০ করেছিলেন। পা নড়ছিল না। অস্বস্তিতে ছিলেন শাহিনের সুইংয়ে। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই গিলই গিলে খেলেন শাহিনকে। নতুন বলে প্রথম স্পেলে ৩১ রান দিয়েছেন শাহিন। খেয়েছেন ৬টা চার। যার সব ক’টাই মেরেছেন শুভমন। যে কোনও আগ্রাসী বোলারের বিরুদ্ধে ফিরে আসার সহজ শর্ত হল, তাঁর দুর্বল বলে আক্রমণ করা। গিল সেটাই করেছেন। ফর্মে থাকলে গিল অফসাইডেই বেশি খেলেন। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম ছন্দে থাকা ওপেনারকেই দেখতে পেলেন। এমনিতে কলম্বোর পিচে তেমন প্রাণ নেই। নতুন বল ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারলে বিপক্ষকে চাপে রাখা যায়। উইকেট তোলা যায়। পাক বোলারার তাই করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গিল আর রোহিত তাড়াহুড়ো করেননি। অপেক্ষা করেছেন খারাপ বলের জন্য। শুভমন চেনা ছন্দে ব্যাট করলেও ৩০ রানের মাথায় নাসিম শাহর বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন। পাক ফিল্ডাররা বুঝতেই পারেননি। এ ছাড়া আর কোনও ভুল করেননি শুভমন। রোহিত শুরু করলেন একটু দেরিতে। রোহিত-শুভমন যে ভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বড় স্কোর অপেক্ষা করে রয়েছে বাবর আজমদের জন্য। শাহিনকে প্রথম স্পেলে সে ভাবে দাঁড়াতেই দেননি শুভমন। সেই তাঁরই স্লোয়ার পড়তে না পেরে শাহিনকে উইকেট দিয়ে গেলেন শুভমন। তবু ৫২ বলে ৫৮ রান কিন্তু কিছুটা হলেও চিন্তামুক্ত করবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − five =