২০০৭ সালে ভারতকে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন গৌতম গম্ভীর। বাঁ-হাতি প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার আসন্ন ভারত-পাক মহাযুদ্ধের জন্য ভারতের দল সাজিয়ে দিলেন। কিন্তু জোড়া বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাইডলাইনেই রাখছেন ভুবনেশ্বর কুমারকে। তাঁর বদলে তিনি মহম্মদ শামিকে তিনি প্রথম একাদশে রাখছেন। এর পাশাপাশি গম্ভীর বলছেন যে, দীনেশ কার্তিকের বদলে ঋষভ পন্থকেই খেলাবেন। একেবারে দুয়ারে মহাযুদ্ধ। হাতে আর ঠিক দু’দিন। আগামী রবিবার অর্থাৎ ২৩ অক্টোবর, চিরপ্রতিদ্বন্দী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মেলবোর্নের বাইশ গজে মুখোমুখি টিম ইন্ডিয়া। রোহিত শর্মা বনাম বাবর আজম ডুয়েল।
গম্ভীর জি নিউজ-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘আমার মতে ভারত তিনজন পেসারকে খেলাক। শামি খেলুক ভুবনেশ্বরের জায়গায়। বাকি দুই পেসার- অর্শদীপ সিং ও হর্ষল প্যাটেল। দুই স্পিনার হিসাবে থাকুক যুজবেন্দ্র চাহাল ও অক্ষর প্যাটেল। চতুর্থ সিমার হিসাবে থাকবে হার্দিক পাণ্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে ডেথ ওভারে ও দারুণ বল করেছে। আমি চাই না এমন কাউকে খেলাতে যে, শুধু ১০ বল খেলবে। আমি একজন ব্যাটারকে নেব যে, লম্বা খেলবে। কার্তিককে সেই ভূমিকাতে দেখাও হচ্ছে না। আর ওর মধ্যেও সেই খিদে নেই। ও ডেথ ওভারের তিন-চার ওভার খেলবে। কিন্তু ভারত যদি দ্রুত কয়েক’টি উইকেট হারিয়ে ফেলে, তখন কী হবে! যখন দলে পন্থকে লাগবে, তখন হার্দিককে আগে নিয়ে আসার প্রয়োজন নেই।’
জসপ্রীত বুমরার পরিবর্ত হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেজায়গা করে নিয়েছেন দেশের অন্যতম তারকা পেসার শামি। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে ফিট সার্টিফিকেট বগলদাবা করে ‘সহেসপুর এক্সপ্রেস’ গত জুলাই থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে জাতীয় শামি। বুমরার বদলে তাঁকে দলে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সুনীল গাভাসকরের মতো কিংবদন্তিও। তবে শামির ফিটনেস ও অভিজ্ঞতা উপর ভরসা রেখেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। শামির ভরসার মান রাখলেন। ‘সহেসপুর এক্সপ্রেস’ বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনি বিশ্বসেরাদেরই একজন। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে শামিই ছিল ভারতের সারপ্রাইজ প্যাকেজ। ১৯ ওভার পর্যন্ত তিনি ছিলেন অব্যবহৃত।
কিন্তু ২০ নম্বর ওভারেই তাঁর হাতে বল তুলে দেন রোহিত শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ১১ রান। শামি বল হাতে আগুন ঝলসালেন। পরপর চার বলে একাই তুলে নিলেন চার উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার নিশ্চিত জেতা ম্যাচের স্বপ্ন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা জোরে বোলার।