হুগলি: হুগলি জেলার চাঁপদানী পুরসভার এলাকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ও ১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রকাশেই গঙ্গার দূষণ (polution) চলছে বলে অভিযোগ উঠছে। দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে স্থানীয় মানুষ। পাশাপাশি মা গঙ্গার পবিত্র জলও দূষিত হচ্ছে। কিন্তু হুঁশ নেই স্থানীয় পুরপ্রশাসনের বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। তাদের দাবি, কাকে এই দূষণ নিয়ে বলব। বার বার বলেও যখন লাভ হচ্ছে না তাহলে জানিয়ে কি লাভ বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষ। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি পুরসভায় ও পুরনিগমে নিজস্ব ময়লা ফেলার জায়গা রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু পুরসভায় ময়লা থেকে সার তৈরির কারখানাও রয়েছে। কিন্তু এই কারখানা থাকা সত্ত্বেও হুগলির চাঁপদানী পুরসভার এলাকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ও ১ নম্বর ওয়ার্ডে গঙ্গার ধারে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। এই আবর্জনা ফেলায় যেমন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি পবিত্র গঙ্গার জল দূষিত হচ্ছে। এমনকী এই আবর্জনা ফেলার জেরে সামনে ও পাশে যে সব হোটেল, খাবারের দোকান সহ বাড়ির লোকজন আছে তারা আবর্জনার গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। রোগের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে আছে তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের নাকি শরীরে জ্বরের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তারা নাকি চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয় একটি নামী হোটেল তথা বারের মালিক সুনীল জয়শয়াল অভিযোগ করে বলেন, অনেকবার আমি পুরসভাকে বলেছি। কিন্তু ওনারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আবর্জনা ফেলার ফলে ভীষণভাবে গঙ্গা দূষণ হচ্ছে। এই হোটেলে গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছে কর্মী থেকে শুরু করে খাবার খেতে আসা মানুষজনেরা। স্থানীয় বাসিন্দা রাজেন্দ্র সাউ বলেন, কাকে বলব। বার বার বলেও লাভ হয় না।
চাঁপদানী পুরসভার পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। চারিদিকের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। কেউ কিছু দেখছে না। এই জন্য গঙ্গা দূষণ হচ্ছে। অপরদিকে এই বিষয়ে চাঁপদানী পুরসভার পুর প্রধান কিছুই বলতে চাননি। তবে চাঁপদানী বিধানসভার বিধায়ক অরিন্দম গুইন জানান, গঙ্গা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নিচ্ছি। এই আবর্জনা যাতে ফেলা না হয় সেই জন্য পুরসভাকে জানানো হবে। সবমিলিয়ে এখন দেখার গঙ্গা দূষণ রোধ করতে এবং স্থানীয় মানুষকে সুরক্ষা দিতে এবং পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয়।