মকর সংক্রান্তির সকালে শীত উধাও হলেও ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল ফলে দৃশ্যমানতা ছিল অত্যন্ত কম। আর তারেই জেরে গঙ্গাসাগর সহ দক্ষিণ ২৪ পরগানার একাধিকা ঘাটে বন্ধ ছিল ফেরি চলাচলও। সেই কারণে সমস্যায় পড়েন গঙ্গাসাগরে আগত পুণ্যার্থীরা। সরকারি পরিষেবার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পুণ্যার্থীদের একাংশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, কুয়াশার কারণে কাকদ্বীপ লট নম্বর ৮ ভেসেল ঘাটে মুড়িগঙ্গা নদীর উপর ভেসেল চলাচল বন্ধ থাকার সমস্যায় গঙ্গা সাগরে তীর্থযাত্রীরা। এদিকে আবার ফের পরিষেবা বন্ধ ছিল নামখানা থেকে চেমাগুড়ি পর্যন্তও। এর ফলে গঙ্গাসাগরে আগত ও বহিরাগত কয়েক লাখ পুণ্যার্থীকে দীর্ঘক্ষণ ভেসেল ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আর এই দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুণ্যার্থীদের। ভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীরা রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
সাধারণ ভাবে পৌষ মাসে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গাসাগরের কপিল মুনি মন্দিরে পুজো দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু পুণ্যার্থীই আসেন। গঙ্গাসাগরে গঙ্গাস্নান করতে প্রতিবছর ভিড়ও জমান তাঁরা। তবে এদিন সঠিক সময় ভেসেল না পাওয়ার জন্য গঙ্গাসাগরের পূণ্য মুহূর্তে তাঁদের এই স্নান করা সম্ভব হয়নি। এরপর পুণ্যার্থীরা ভেসেল ঘাটে ক্ষোভে ফেটে পড়লে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় পুণ্যার্থীদের সঙ্গে পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীদের। এরপর তা গড়ায় হাতাহাতিতেও। এদিকে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, কুয়াশা থাকার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকার জেরে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ, এমন কম দৃশ্যমানতায় ভেসেল চালানো হলে দুর্ঘটনার ঘটার সম্ভাবনা প্রবল। পাশাপাশি আশ্বাস্ত করা হয়, পরিস্থিতির স্বাভাবিক হলে পুনরায় ভেসেল পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে।
প্রসঙ্গত, মেলার শুরু থেকেই ভিড় সামলাতে গঙ্গাসাগরে তৎপর পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। সক্রিয় ছিলেন উপকূলরক্ষী বাহিনীও। জলপথে স্পিড বোট এবং জলযান নিয়ে চলে কড়া নজরদারি। । প্রতি বছরের মতোই মেলা শেষ না-হওয়া পর্যন্ত এই কড়া নজরদারি চলবে বলেই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।