পরিমিত খাবার, হাঁটাচলার পরও দেখা যায় অনেকের ওজন বেড়েই চলেছে। ছোট বেলায় যে ছেলে বা মেয়েটির চেহারা রোগা লিকলিকে ছিল, দেখা যায় যৌবন এসেই তাঁর চেহারায় বিশাল পরিবর্তন। হাজার চেষ্টাতেও বহর আর কমছেই না!
জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত চিনি, মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা, এক্সারসাইজ না করা অবশ্যই মোটা হওয়ার কারণ হতে পারে। কিন্তু জানেন কি এই কারণগুলো ছাড়াও আচমকা ওজন বাড়তে পারে আপনার।
কেন?
থাইরয়েডের সমস্যা- থাইরয়েড হরমোন মানবদেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এই হরমনোর সঙ্গে মেটাবলিজম রেট-এ কীরকম হবে তার সম্পর্কে। থাইরয়েড-এর অতিমাত্রায় ক্ষরণের জন্য ওজন বাড়ার সমস্যা হতে পারে।
পিসিওডি বা পিসিওএস- পলিসিস্টিটক ওভারির জন্য শরীরে হরমোনের ভারসাম্যে প্রভাব পড়ে। তার জেরে অনেকেরই ওজন বাড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
বয়স হলে- অনেকেরই বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বিএমআর-এর রেট কমতে থাকে। যা ওজন বাড়িয়ে দেয়।
মেনস্ট্রুয়েশন-এই সময়টা সাময়িকভাবে ওজন বাড়তে পারে। এই সময় অনেক মহিলায় পেট ফোলা ইত্যাদি সমস্যা দেখতে পান।
ওষুধ- কিছু কিছু ওষুধের জন্যও ওজন বাড়তে পারে। যেমন স্টেরয়েড, অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্ট মেডিসিন, অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ, জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধের জন্যও ওজন বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়।
তাই ওজন কমছে না বলে খাওয়া কমিয়ে দেওয়া আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিম করা কিন্তু কাজের কথা নয়। জেনে নিন, কোনও সমস্যা শরীরে আছে কিনা, যে জন্য ওজন বাড়ছে। সেটা নিয়ন্ত্রিত হলে বাগে আসবে ওজনও।