ভাঙড়ের সঙ্গে উত্তপ্ত এখন ফুরফুরা শরিফের রাজনীতিও। এই ঘটনার শুরুয়াৎ তিনদিন আগে ১২ মার্চ। ফুরফুরা শরিফে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শওকত মোল্লাকে ঘিরে। সেদিন আইএসএফ সমর্থকদের বিক্ষোভ স্লোগান দিতে দেখা যায়। গত রবিবার রাতে নওশাদের পাড়ায় ‘চোর চোর’ স্লোগান ওঠে শওকত মোল্লাকে ঘিরে। এদিনের সমগ্র ঘটনার জেরে ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করলেও এই ঘটনাকে ঘিরে মাজারে প্রার্থনা না করেই সেদিন ফিরতে হয় শওকত মোল্লাকে। তার জেরে ক্ষুব্ধ শওকত পালটা বিবৃতিও দেন। আর তা নিয়েই সরগরম হয়ে ওঠে ফুরফুরা শরিফ। এদিকে এবার বিধায়ক শওকতে বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ফুরফুরার পীরজাদা সাফেরি সিদ্দিকি। সাফেরি সিদ্দিকি জানান, ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক গভীর রাতে ফোন করে হুমকি দেন তাঁকে। আর এই অভিযোগ এনে হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া থানায় শওকত মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সাফেরি সিদ্দিকি। সাফেরি সিদ্দিকি তাঁর এই অভিযোগে এও জানান, ‘আমার বংশের লোকদের অপমান করেছেন শওকত মোল্লা। তাই তার ফুরফুরার পবিত্র মাজারে ইজারত করার কোনও অধিকার নেই।’ সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘ওইদিন রাতে আইএসএফ সমর্থকরা শওকতকে লক্ষ্য করে স্লোগান দেন। এদিকে আইএসএফ সমর্থকদের সঙ্গে আমার দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনও সম্পর্ক নেই। এরপর ফোন করে যা নয় তাই কথা শোনালেন। এমনকি যথেষ্ট অকথ্য ভাষাও তিনি ব্যবহার করেন। কে না কে স্লোগান দিয়েছে তাঁকে ঘিরে, আর সেই জন্য আমাকে কেন কথা শুনতে হবে।’ এর পাশাপাশি সাপেরি সিদ্দিকর আশঙ্কা, তাঁকে ফোনে যেভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাতে তাঁকে হয়ত এরপর আক্রমণ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, সেদিন শওকত মোল্লা ত্বহা সিদ্দিকির বাড়িতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘ফুরফুরার পীর ভাইদের সম্মান করি, কিন্তু নওশাদ আব্বাসরা রাজনীতি করে তাই তাদের সম্মান করি না।’ এছাড়াও পরের দিন অর্থাৎ সোমবার তিনি সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে নওশাদ ও আব্বাস সিদ্দিকিকে রীতিমতো আক্রমণও করেন। আর বলেন, রবিবার রাতে তাঁকে ঘিরে যে স্লোগান ও হাঙ্গামা করা হয়েছে ফুরফুরাতে তার পিছনে নওশাদ ও আব্বাসের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে।